নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, তরুণরাই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার যোগ্য কারিগর। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।
আজ রাজধানীর হলিক্রস কলেজ আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হলিক্রস কলেজের গভর্নিং বডি’র সভাপতি ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ, ওএমআই। স্বাগত বক্তব্য দেন কলেজের অধ্যক্ষ সিস্টার শিখা গমেজ, সিএসসি। বক্তব্য রাখেন কলেজের গভর্নিং বডি’র প্রাক্তন সভাপতি কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও, সিএসসি, আইসিডিডিআরবি- এর জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. ফিরদৌসী কাদরী, এরিয়া অব এশিয়া’র কো-অর্ডিনেটর সিস্টার ভায়োলেট রড্রিক্স, সিএসসি।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করে জাতিকে, জাতির অস্তিত্বকে ধ্বংস করার অপপ্রসায় চালিয়েছিল চিহ্নিত অপশক্তি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ দৃশ্যমান। স্ব-অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মিত হচ্ছে। আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু টানেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, মেট্রোরেলসহ বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগুচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি ২১০০ সালের ব-দ্বীপ পরিকল্পনার মাধ্যমে এদেশ জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়া মোকাবেলা করতে সামর্থ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্পিকার বলেন, ১৯৪৮ থেকে ‘৫২ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলন, ‘৬২-শিক্ষা আন্দোলন, ‘৬৬-র ৬ দফা, ‘৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থান, ‘৭০ এর নির্বাচন- ধারাবাহিক আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ। এ সুদীর্ঘ যাত্রায় বঙ্গবন্ধু বারবার কারারুদ্ধ হয়েছেন কিন্তু অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তাইতো বাঙালি পেয়েছে ভাষা, পেয়েছে মহান স্বাধীনতাসহ বিশ্বসেরা অনন্য সংবিধান।
বিএসডি/ এলএল