নিজস্ব প্রতিবেদক: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বেলেছেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন সকল প্রতিষ্ঠানসমূহের আইনগুলোকে সময়ের চাহিদা পূরণের জন্য সংশোধন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেনসহ বিশ্বের অনেক দেশ সময়ের প্রেক্ষিতে এবং জনমানুষের শান্তিকামনায় নতুন নতুন আইন প্রবর্তন এবং আগের আইনগুলোকে সংস্কার ও পরিবর্তন করেছে । আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, বর্তমান প্রেক্ষাপটসহ সার্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আইনগুলোকে সময় উপযোগী এবং শক্তিশালী করতে সংস্কার/কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন । এলক্ষ্যে তাঁর মন্ত্রণালয় বেশ কিছু উদ্যোগ নিচ্ছে ।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সরকারি বাসভবন মিন্টু রোড থেকে চলমান কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে দেশেল সকল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের সাথে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন এবং মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান/অধিদপ্তর সাধারণ মানুষকে নিবিড়ভাবে সেবাদান করে থাকে । এসব প্রতিষ্ঠান সাথে দেশের আর্থ-সামাজিকসহ অনেক কর্মকাণ্ড বিশেষ করে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবনজীবিকা জড়িত । করোনা মহামারির এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলমান উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখতে হবে । অন্যথায় বিশাল সংখ্যক শ্রমজীবি মানুষ আয় বঞ্চিত হলে গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক অবস্থা কঠিন বাস্তবতার সম্মুখিণ হবে বলে জানান তিনি ।
এ কারণে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সাথে অনলাইনে সভা করে স্বাস্থ্য বিধি মেনে উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রাখতে সবাইকে উৎসাহ-উদ্দীপনা প্রদানের পাশাপাশি স্ব স্ব দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা এবং আন্তরিকতার সাথে পালন করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয় ।
তিনি আরো বলেন, যত বড়ই দুর্যোগ আসুক না কেন সরকারের সাথে দেশের মানুষ একত্র হয়ে কাজ করলে সকল বাধা উপেক্ষা করে দেশ স্বমহিমায় উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাবে । করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করে মানুষের জীবন-জীবিকা সমুন্নত রেখে উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ প্রধানমন্ত্রীর দর্শন বাস্তবায়নের জন্য সকল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় শহরের সব সুযোগ সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিতে সরকার নিরলস কাজ করছে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রোগ্রামের ফলে বয়ষ্কভাতা, বিধবাভাতা এবং প্রতিবন্ধিভাতা প্রদানসহ অসহায় গরীব-দুঃস্থ ও ছ্ন্নিমূল মানুষের জীবনজীবিকায় পরিবর্তন এসেছে মন্তব্য করেন মো. তাজুল ইসলাম ।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে ক্ষমতায়ন এবং জবাবদিহি করতে হবে । সকল মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে সবাই মিলে একসাথে কাজ করলে দেশ কখনোই পিছিয়ে থাকবে না ।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সকল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় অংশ নেন ।