নিজস্ব প্রতিবেদক
বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণকারী অভিবাসীদের ‘রেমিট্যান্স পুরস্কার’ দিয়েছে ইতালির রোমের বাংলাদেশ দূতাবাস। গত বছর সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী দুজন নারীসহ ছয় প্রবাসী বাংলাদেশি এবং একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে রোমের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২১ উপলক্ষে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
২০২১ সালের রেমিট্যান্স পুরস্কার পাওয়া প্রবাসীরা হলেন- ব্যক্তি ক্যাটাগরি (পুরুষ) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ফরাজী, কার্ত্তিক চন্দ্র ঘোষ, শাহাজালাল মিলন, রায়হান মোহাম্মদ উদ্দিন রাসেল এবং হাবিবা কবির ও মেহেনাস তাব্বাসুম। প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে বাংলা এসআরএল।
দূতাবাস জানায়, ইতালি থেকে বাংলাদেশে জুলাই ২০২০ থেকে জুন ২০২১ সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী হিসেবে তাদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান এ পুরস্কার বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে ২০১৯ সালে রোমের বাংলাদেশ দূতাবাস রেমিট্যান্স পুরস্কার চালু করে।
আলোচনা সভার শুরুতে দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম কল্যাণ) মো. এরফানুল হক প্রবাসীদের অধিকার রক্ষা, তাদের কল্যাণ এবং বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোয় প্রবাসীদের উদ্বুদ্ধকরণে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপগুলোসহ দূতাবাসের ভূমিকার ওপর একটি প্রতিবেদন পেশ করেন।
রেমিট্যান্স পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে উক্ত অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত দুজন এবং ডিজিটাল মাধ্যমে যুক্ত পাঁচজন এতে বক্তব্য রাখেন। এ স্বীকৃতি দেওয়ায় তারা দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে উল্লেখ করেন, মুজিববর্ষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর কারণে চলতি বছর খুবই তাৎপর্য্যপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বর্তমান সরকারকে তিনি প্রবাসী-বান্ধব সরকার বলে উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত আহসান বৈধ অভিবাসনের পক্ষে বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, করোনা মহামারির কারণে বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত আনা এবং চাকুরি হারানো ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়েছে।
ইতালি প্রবাসীদের উদ্দেশে রাষ্ট্রদূত বলেন, পাসপোর্ট সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান এবং অন্যান্য সেবার মান বাড়াতে দূতাবাস আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এসএ