খেলাধূলা প্রতিনিধি:
সাকিবের না থাকার সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জও সামলাতে হবে বাংলাদেশকে। এ ক্ষেত্রে গত জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরের সাফল্য তাসকিনদের অনুপ্রাণিত করছে, ‘চ্যালেঞ্জিং তো হবেই। নিউজিল্যান্ড সিরিজও চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু সেখানে টেস্ট জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে কিছু কঠিন ম্যাচ জিতেছি। যেহেতু কঠিন কিছু ম্যাচ জিতেছি, এসব আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করেছে। আমার বিশ্বাস, যদি সেরা খেলাটা খেলতে পারি, তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকাতেও জেতা সম্ভব।’
দক্ষিণ আফ্রিকা মানেই গতি, বাউন্সের সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের লড়াই। তবে বাউন্সের সঙ্গে একবার মানিয়ে নিতে পারলে দক্ষিণ আফ্রিকা হতে পারে ব্যাটসম্যানদের স্বর্গ। তাসকিন আজ সে কথাই বলছিলেন, ‘ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকায় দারুণ স্পোর্টিং উইকেট পাওয়া যায়। এসব জায়গায় বোলার, ব্যাটসম্যান—সবার জন্যই ভালো করার সুযোগ থাকে। চ্যালেঞ্জও বেশি। কারণ, সমান বাউন্স থাকে, ক্যারিও দারুণ। ভালো জায়গায় বোলিং না করলেন রান হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। সুবিধাও আছে। একই সঙ্গে সেখানে খুব নিয়ন্ত্রিত বোলার হতে হবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে তাসকিনরা নতুন বোলিং কোচও পেতে যাচ্ছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি অ্যালান ডোনাল্ড ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন। তাসকিনও প্রোটিয়া এই কিংবদন্তির সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছেন, ‘আমরা রোমাঞ্চিত। কারণ, ওনার মতো একজন কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের অধীন কোচিং করব। আমাদের দেশি কোচ বা বিদেশি কোচ বলেন, সবার তত্ত্ব প্রায় একই। কিন্তু একেকজনের অভিজ্ঞতা একেক রকম। আমরাও রোমাঞ্চিত যে ওনার মতো একজন কোচকে পাব। চেষ্টা করব তাঁর মতো কিংবদন্তির কাছ থেকে যতটা সম্ভব আদায় করে নিতে।’
বিএসডি/ এমআর