স্পোর্টস ডেস্ক:
তিনি ৪৮ ঘন্টা পর্যবেক্ষণে। আগের দিন জানিয়েছিল, দুদিন দেখে সাকিব আল হাসানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে টিম ম্যানেজমেন্ট। শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে দেশসেরা এই ক্রিকেটার হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েন। এরপর বাড়তি ধকল থেকে বাঁচতে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ওপেনিংয়ে নামেন তিনি। যদিও তা যৌক্তিক করে তুলতে পারেননি তিনি। ১২ বলে মাত্র ৯ রানে ফেরার সময়ই আঁচ করা যাচ্ছিল, চোট একেবারে মামুলি নয়।
সকাল থেকে চাপা খবর, শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাওয়া সেই চোটে এবারের বিশ্বকাপটাই শেষ সাকিবের। যদিও টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে এ নিয়ে এখনো কোনো তথ্য জানানো হয়নি। পর্যবেক্ষণের যে সময়টা ছিল সেটিও এখনো শেষ হয়নি। দলের ডাক্তাররা কাজ করছেন সাকিবকে নিয়ে। তবে এটুকু ইঙ্গিত মিলেছে, সাকিব যে ধরনের চোটে আছেন সেটা কাটিয়ে উঠতে এক সপ্তাহ সময় চাই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সামনের দুটো ম্যাচ ২ ও ৪ নভেম্বর। মানে সাকিব সেরে ওঠার আগেই শেষ হয়ে যাবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন। বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে সাকিব আল হাসানের বিশ্বকাপ শেষ, সোমবার অনুমতি পেলে দুবাইয়ের টিম হোটেল ছাড়তে পারেন তিনি!
অবশ্য দল দ্বিতীয় দিনের মতো রয়েছে বিশ্রামে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে শারজায় হারের পর থেকে হোটেল বন্দি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। বায়োসিকিউর বাবলে দুবাইয়ের ক্রাউন প্লাজা হোটেলে সময় কাটছে তাদের।
তার মধ্যেই সাকিব ছাড়াও নুরুল হাসান সোহানের চোট নিয়ে কাজ করছে মেডিক্যাল টিম। এ অবস্থায় এটুকু অনেকটাই নিশ্চিত, ২ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নাও দেখা যেতে পারে সাকিব-সোহানকে।
শুক্রবার সাকিবের হ্যামস্ট্রিংয়ে টান পড়ে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ে। বিশ্রামে থাকলেই চোট সামলে উঠতে পারবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে ম্যাচ খেললে বাড়তে পারে সেই চোট। তাতে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেও অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারেন সাকিব। ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে নেটে ব্যাটিং অনুশীলনে ব্যাথা পেয়েছিলেন নুরুল হাসান সোহান। সেই ধাক্কা সামলে উঠতে পারেননি এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।
গোটা দলই ক্লান্তিজনিত সমস্যাতে আছে। গত ১৫ দিনে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলেছে ছয়টি। সব মিলিয়ে মানসিক ও শারীরিকভাবে কিছুটা ক্লান্ত তারা। তার মধ্যে এবার চোটে দুই ক্রিকেটার। সঙ্গে মাঠে টানা হারের ধকল আর সমালোচনা-বিতর্কের ছাপ তো আছেই। সব মিলিয়ে ভয়াবহ দুঃসময়ে বাংলাদেশ দল।
বিএসডি/এসএসএ