নিজস্ব প্রতিবেদক,
সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে পচাধান নিয়ে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক চাষিরা।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, কলারোয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সেচ কমিটির সভাপতি আরিজুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, নুর ইসলাম, রত্না খাতুন প্রমুখ।
এসময় তারা বলেন, আমরা সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার মুরারীকাটি, কুমারনল ও কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। কৃষি কাজের উপর নির্ভর করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করি। বিগত ২১ বছর যাবত আমাদের বিলটি জলাবদ্ধ থাকায় আমরা অর্ধহারে-অনাহারে দিন কাটায়। এ পরিস্থিতিতে তিন গ্রামের সমন্বয়ে ধান চাষের জন্য একটি সেচ কমিটি গঠন করি। সেই কমিটির মাধ্যমে বিদ্যুতের শক্তিশালী মিটার ও পাম্প স্থাপন করে লাখ টাকা ব্যয় করে পানি নিস্কাশন করে ধান চাষের উপযোগী করা হয়। চলতি মৌসুমে আড়াই হাজার বিঘা জমি স্ব-স্ব কৃষক ধান করি।
বক্তারা আরও বলেন, কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু জবর দখল করে একটি মৎস্য ঘের করেছেন। সম্প্রতি বর্ষার কারণে পানি জমে ধানের ক্ষতি হতে পারে ভেবে উজানের একটি কালভার্টের মুখ আটকিয়ে দেওয়া হয় এবং পাশ্ববর্তী সরকারি ‘চাঁন মল্লিকের খাল’ দিয়ে পানি বেতনা নদীতে নামানোর জন্য একটি শক্তিশালী পাম্পের ব্যবস্থা করি।
কিন্তু চেয়ারম্যান লাল্টু তার অবৈধ মৎস্যঘের রক্ষা করতে ঘেরে পানি ঢোকানোর জন্য খালের মুখ বন্ধ করে কালভার্টের মুখটি খুলে দিয়ে আড়াই হাজার বিঘা ধানী জমিতে পানি প্রবাহিত করে। ফলে সেখানে সমস্ত ধান পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় ২ হাজার প্রান্তিক কৃষক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। পথে বসেছেন অনেকেই। উপজেলা চেয়ারম্যান পরিকল্পিতভাবে একক স্বার্থে ২ হাজার কৃষকের পেটে লাথি মেরেছেন। আমরা অবিলম্বে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অবস্থান কর্মসূচি শেষে দ্রুত জলাবদ্ধতার নিরসনের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচি প্রসঙ্গে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাহমুদুর রহমান কৃষকদের এ ধরনের ক্ষতিতে দু:খ প্রকাশ করে বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয় অবগত হয়েছেন। দ্রুত সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক সুষ্ঠ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিএসডি/আইপি