সাতক্ষীরা প্রতিনিধি,
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়ন সহ পাশ্ববর্তী কুশখালী, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নে পাটের এবার প্রচুর উৎপাদন হয়েছে।
স্থানীয় কৃষি সূত্রে ও কয়েকজন পাট চাষীর সাথে আলাপে জানা যায় পাটের এ বছর গত বছরের তুলনায় ব্যাপক উৎপাদন হয়েছে। কৃষকেরা জানান, পাট কাটাকটি প্রায় শেষের পথে,উঁচু জমিতে আছে অল্প কিছু পাট।
এ দিকে পাট ধুয়া শুকানোর মহা ধুম পড়েছে, অতি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে জনপদের কৃষান-কৃষানীরা।অপর দিকে ব্যস্ত তারা স্বপ্ন সাজাতে। অনেকে বলছে কিনবে তারা হালের নতুন বলদ।কেহ বা ভাবছে খুলবে স্কুল কলেজ ,কিনবে তারা সন্তানের নতুন সাইকেল।কেহ বা ভাবছে বানাবে নতুন ঘর,সাজাবে ভিন্ন ভাবে।মোট কথা সোনালী আঁশের সোনালী স্বপ্নে বিমোহিত কৃষান-কৃষকের মন।
এবার তারা পাটের মূল্যও পাচ্ছে বেশ।তবে কোন কোন দরিদ্র কৃষকেরা বর্তমানে আমন ধানের সার বীজ ক্রয়ে ও তাদের একান্ত প্রয়োজনে দাদন নিচ্ছে স্থানীয় গুটি কয়েক মধ্যসত্বভোগীর কাছ থেকে। যারা অতি চড়া লাভে ছাড়ছে টাকা। উপয় না পেয়ে নিতে হচ্ছে সেই সব মহাজনদের কাছ থেকে টাকা।
অপর দিকে কৃষানীরা ব্যস্ত আছে জালানি হিসাবে পাটকাঠি শুকিয়ে সংরক্ষন করতে। গ্রামের প্রতিটি মেঠো পথে,প্রতিটি বাড়ির
সামনে পেছনে,অলিতে গলিতে রাস্তর পাশে সর্বত্র এখন পাট ও পাটকাঠির ছড়াছড়ি।সব কিছু মিলিয়ে গ্রাম্য জনপদ এখন পাটের কাজে ব্যস্ত। উন্নতমানের বীজ উৎপাদন সংরক্ষন ও বিতরন প্রকল্পের আওতায় এসএমই।
বিএসডি/আইপি