করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সাতক্ষীরায় শনিবার (৫ জুন) সকাল থেকে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শুরু হয়েছে। আগামী ১১ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত এই লকডাউনের মেয়াদ থাকবে বলে জেলা প্রশাসন ঘোষণা করেছে।
লকডাউন চলাকালে সবধরনের বিধিনিষেধ মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। একই সময় শহরে ভ্রাম্যমান আদালত এবং পুলিশি টহল থাকার কথাও বলা হয়েছে। এছাড়াও যশোর ও খুলনা থেকে সাতক্ষীরা জেলায় প্রবেশের মুখে বেশ কয়েকটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
ঘোষণা অনুযায়ী লকডাউন চলাকালে ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক থাকছে। তবে বন্দরের সব বাজারঘাট ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এই সময়কালে বাংলাদেশ ও ভারতে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে বৈধ ও অবৈধ পন্থায় যাতায়াত পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে, রিকশাভ্যান, ইজিবাইক, মাহিন্দ্র, নছিমন, করিমন ও মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকার কথা বলা হলেও সকাল থেকে এ সমস্ত যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে দেখা গেছে।
লকডাউন চলাকালে সকাল নয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনাবেচার সুযোগ থাকবে। তবে লকডাউনের আওতায় নেই ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসাসেবা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন। লকডাউনের এই সময়ে সকলকে মাস্ক ব্যবহার করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করার অনুরোধ জানানো হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এর আগে শুক্রবার দিনভর মানুষের চলাচল ছিল চোখে পড়ার মত। তারা সপ্তাহব্যাপী বাজার সওদা করার চেষ্টা করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে করোনা প্রতিরোধবিষয়ক এক বৈঠকে এই লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়।