নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশেষ বিবেচনায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পের তিন ও পাঁচ কাঠা করে প্লট ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের ১৫ ড্রাইভারের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়। অথচ রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চার শ্রেণিতে ঝিলমিল প্রকল্পের প্লট বরাদ্দের কথা ছিল।
বুধবার (২৩ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পরিচালিত এক এনফোর্সমেন্ট অভিযানে এমন তথ্য বেরিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার সংস্থাটির জনসংযোগ দপ্তর অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্লট পাওয়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৫ গাড়িচালক হলো- ভিভিআইপি গাড়িচালক মো. সাইফুল ইসলাম, মো. সফিকুল ইসলাম, ভিডিআইপি অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. নূরুল ইসলাম লিটন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব-এর গাড়িচালক মো. রাজন মাদবর, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিবের গাড়িচালক মো. মাহবুব হোসেন, একান্ত সচিব-১-এর গাড়িচালক মো. শাহীন, একান্ত সচিব-২-এর গাড়িচালক মো. মতিউর রহমান, সহকারী একান্ত সচিব-১-এর গাড়িচালক মো. নূর হোসেন বেপারী, সহকারী একান্ত সচিব-২-এর গাড়িচালক মো. বোরহান উদ্দিন, বিশেষ সহকারী (মশিউর রহমান হুমায়ুন)-এর গাড়িচালক মো. বেলাল হোসেন, চিফ ফটোগ্রাফারের গাড়িচালক মো. মিজানুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-১-এর গাড়িচালক মো. বাচ্চু হাওলাদার, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১-এর শাখার নথিপত্র পরিবহনের দায়িত্বে নিয়োজিত গাড়িচালক মো. নুরুল আলম, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া)-এর গাড়িচালক মো. নুরনবী (ইমন) এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২-এর গাড়িচালক মো. শাহীন।
এ বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে নানাবিধ দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম রাজউকের ঝিলমিল প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনায় জানতে পারে, ১৩/এ ধারায় রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার ক্ষেত্রে ৪ শ্রেণিতে প্লট বরাদ্দ করা হয়েছে। প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে রাজউককে চিঠি প্রদান করলে রাজউক সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে। ওই প্রকল্পে ১৩/এ ধারার আওতায় বিভিন্ন সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ এর ড্রাইভার, বিশেষ সহকারীর ড্রাইভার, সহকারী একান্ত সচিব-১ এর ড্রাইভার, একান্ত সচিব ১ ও ২ এর ড্রাইভার, প্রটোকল অফিসারের ড্রাইভার, মূখ্য সচিবের ড্রাইভার, চিফ ফটোগ্রাফারের ড্রাইভারসহ প্রায় ১৫ জন ড্রাইভারকে প্লট বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে বলে টিম প্রমাণ পায়। প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি ও অনিয়মের সত্যতা সংক্রান্ত অভিযোগের বিস্তারিত যাচাইয়ে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণান্তে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানা গেছে।