নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরীয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার, বিচারকার্যে প্রশাসনিক অসংগতি ও গাফিলতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের ব্যর্থতা, দেশজুড়ে নাগরিক নিরাপত্তার বেহাল দশা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলা দাবিতে সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থী ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রদল ও কয়েকটি বামপন্থী ছাত্রসংগঠন।
সোমবার (১৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল ও কয়েকটি বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদলের আবিদুর রহমান মিশু, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ইসরাত জাহান ইমু, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের মোহাম্মদ মুস্তাকিম আহমেদ এবং ছাত্র ফেডারেশনের রক্ত বিচ অর্ক লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে সাম্য হত্যাকাণ্ডের বিচারক অসংগতি ও প্রশাসনিক ব্যর্থতা, তোফাজ্জল হোসেন হত্যা ও প্রশাসনের দায়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে গাফিলতি, মেট্রোরেলের পিলার থেকে স্বৈরাচারী হাসিনার ঘৃণাস্তম্ভের গ্রাফিতি মোছা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়, চারুকলায় খুনি হাসিনার মোটিফে অগ্নিসংযোগ ও প্রশাসনের দায়, দেশজুড়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় বেহাল দশা ও ক্রমবর্ধমান অপরাধ প্রবণতার বিষয়ে আলোকপাত করেন বক্তারা।
এ সময় সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীদের ব্যানারে সাম্য হত্যার বিচারসহ ৪ দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো-
১. দ্রুততম সময়ে জুলাই যোদ্ধা শাহরীয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করো।
২। দায়িত্ব গ্রহণের নয় মাসে ক্যাম্পাসে দুই হত্যাকাণ্ডসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে ভিসি ও প্রক্টরকে পদত্যাগ করা।
৩। তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডসহ বিগত নয় মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিঘ্নকারী সব ঘটনার যথাযথ বিচার নিশ্চিত করা।
৪। ক্যাম্পাস এবং নাগরিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তার জন্য কাঠামোগত ও নীতিগত সংস্কার : আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্কার, মাদক-সন্ত্রাস দমন, নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি, এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও উদ্যানে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রযুক্তিনির্ভর করাসহ সার্বিক তৎপরতা।