নিজস্ব প্রতিবেদক,
আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।
সোমবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় উক্ত আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় স্বাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ। আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত এই হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, আজ আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য মামলার বাদী ও নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস, তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ খান, হত্যাকাণ্ডের সময় সিনহার সাথে থাকা সহকর্মী সহিদুল ইসলাম সিফাত, টেকনাফ উপজেলার শামলাপুর এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. ইউনুচ, ডা. মৃত ফজল করিমের ছেলে আবদুল হামিদ, মিনাবাজার এলাকার কাজী ঠান্ডা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলীকে সমন জারি করা হয়েছে। সাক্ষীদের সমন প্রাপ্তি বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া সাক্ষ্য চলাকালে মামলার সকল আসামিদের আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে। সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত হলে আসামিদের উপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
এর আগে ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য করা হলেও লকডাউনের কারনে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। পরে ১১ আগস্ট নতুন করে সাক্ষ্যর দিন ধার্য করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্য গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সাক্ষীরা উপস্থিত হলেই সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে। প্রতিদিন ৫ জন করে ৩ দিনে মোট ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গেলো বছর ৩১ জুলাই রাত সাড়ে সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফ থেকে কক্সবাজার ফেরার পথে মেরিন ড্রাইভ সড়কে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। হত্যার পাঁচ দিনের মাথায় ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। চলতি বছর ২৭ জুন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাইল মামলাটির চার্জ গঠন করে সাক্ষ্যর দিন ধার্য করেন। মামলার ১৫ আসামি বর্তমান কারাগারে আটক রয়েছে।
বিএসডি/আইপি