নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিনেমা হল নির্মাণ করতে চাইলে উদ্যোক্তাকে সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা ঋণ দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
৫ শতাংশ সুদে এই ঋণ পাবেন মেট্রোপলিটন এলাকার হল মালিকরা। মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরের হল মালিকরা ঋণ পাবেন সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে।
এখন থেকে সুস্থধারার বিনোদনে আকৃষ্ট করতে দেশব্যাপী সিনেমা ও সংস্কারের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
উল্লেখ্য, আগে এই ঋণসীমা ছিল সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা।
দর্শকশূন্যতায় দেশে একে একে সিনেমাহলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এক জরিপ বলছে— ৮০ শতাংশ সিনেমা হলই বন্ধ হয়ে বিপণিবিতান, মেডিকেল সেন্টার বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
এমনটি হওয়ার অন্যতম কারণ— আধুনিকায়নের অভাবে নির্মিত সিনেমাগুলো দর্শক টানতে পারছে না।
এই পরিস্থিতিতে সিনেমা হলগুলোর আধুনিকায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের ঋণসীমা বাড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের পাঠানো হয়।
সার্কুলারে বলা হয়, নতুন সিনেমা হল নির্মাণ এবং বিদ্যমান সিনেমা হল সংস্কার ও আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে এই স্কিমের আওতায় সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা পাওয়া যাবে।
একই ভবনে একটি কোম্পানি বা ব্যক্তিমালিকানাধীন (একক বা যৌথভাবে) সিনেপ্লেক্স যতসংখ্যক স্ক্রিনবিশিষ্ট হোক না কেন তা আলোচ্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ঋণপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে একটি ইউনিট হিসেবে বিবেচিত হবে।
এ লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব উৎস থেকে ১ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করা হয়েছে। গত ২৬ জানুয়ারি এই তহবিলের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ১ দশমিক ৫ শতাংশ সুদে এই ঋণ দেবে। ব্যাংকগুলো আবার গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ সুদে এই ঋণ বিতরণ করতে পারবে।
বিএসডি/এসএফ