লাইলুন নাহার:
সিন্ডিকেট সম্পর্কিত গুজবে কান না দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন বিএমইটি মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম (এনডিসি)। এ প্রসঙ্গে তিনি বর্তমান সময়কে বলেন, দু’দেশের মধ্যে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তাতে নির্দিষ্ট কোন এজেন্ট বা কোম্পানির নাম উল্লেখ করা হয়নি। আর শোনা কথায় সরকার কাজ করতে পারে না। যা চুক্তি হয়েছে উভয় দেশের সরকার তা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। অসাধু প্রক্রিয়া সব দেশে সব সময় ছিল এবং আছে। কিন্তু সরকারের দিক থেকে এটা অপছন্দনীয়। বিএমইটি বিশ্বাস করে মানুষ সহজে ও কম খরচে বিদেশ যেতে পারে । আর বিএমইটি এই প্রক্রিয়া সমর্থন করে।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় মন্ত্রীমহোদয় সতর্ক করে বারবার বলেছেন, কারো কাছে টাকা জমা না দিতে এবং প্রতারণায় পা না দিতে। এছাড়াও বিএমইটি পাঁচটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রদানের মাধ্যমে জনগণকে এ বিষয়ে সতর্ক করেছে। এখনও যদি কেউ বাছ-বিচার না করে নিজের অর্থ-সম্পদ-পাসপোর্ট সর্বোপরি জীবন কারো হাতে তুলে দেয় তাহলে তাকে রক্ষা করা খুব কঠিন। আধুনিক যুগ সচেতন হওয়ার সময় এখনই।
তিনি আরো বলেন,পাঁচ-সাত বছর আগের বাংলাদেশ আর বর্তমান বাংলাদেশের মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে। আগে মানুষ টাকা দিত গোপনে আর এখন প্রযুক্তি ও ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতে বলা হচ্ছে যেন মানুষ সহজে প্রতারণার শিকার না হয়। আইন প্রতিপালনে সহায়তা যদি ভিকটিম নিজে না করে তাহলে বিচার করা কষ্টসাধ্য। অপরাধ ঘটার সময় সহায়তা করে পরে বিচার চাইলে সরকারের পক্ষে বিচার করা বেশ কঠিন।সুতরাং আমরা চাই জনগণ সচেতন হবেন। বিদেশ যারা যাবেন তারা নিবন্ধিত হবেন। এর আগে তারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন, পাসপোর্ট করবেন এবং করোনার ভ্যাকসিন দিবেন।
বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে এক-এক দেশে একেক রকম ডিমান্ড থাকে। যারা বিদেশ যাবেন তাদের নিজেদের মনোবল, স্বাস্থ্য ও কর্মদক্ষতার প্রতি যত্নশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।মালয়েশিয়ার কোন কোম্পানি যদি লেবার ডিমান্ড করে তাহলে সে দেশের লেবার কাউন্সিলে তা সত্যায়িত হতে হবে। পরে কাউন্সিলর যাচাই-বাছাই করে সরকারকে জানাবে যে ওই কোম্পানিতে লোক পাঠানো যায়। এরপর ওই দেশের সরকার যদি ভিসা প্রদান করে তখন বিএমইটির কাজ হচ্ছে ভিসা সমর্থন করে ক্লিয়ারেন্স দেওয়া। একটি সু-নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সততা-নিষ্ঠা-নৈতিকতার মধ্যদিয়ে মানুষকে সহায়তা করাই বিএমইটির লক্ষ্য।