আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সীমান্তে উত্তেজনা ও গোলাবর্ষণ বন্ধে মিয়ানমারকে বার্তা দেবে চীন। এ নিয়ে ঢাকাকে আশ্বাস দিয়েছে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিবের সাথে বৈঠক শেষে লি জিমিং এসব কথা বলেন।
এ সময়, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া যেন দ্রুত শুরু হয় সেজন্য চীনকে পদক্ষেপ নিতে বলেছে ঢাকা।
বিদ্রোহীদের দমনে দুই মাস ধরে নিজ সীমান্তবর্তী এলাকায় সামরিক অভিযান চালাচ্ছে মিয়ানমার। মিয়ানমারের এ অভিযানে গোলাগুলির প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। কয়েক দফা গোলা এসেছে বান্দরবানে।
এতে ১৬ সেপ্টেম্বর নিহত হয়েছে এক রোহিঙ্গা, আহত হয়েছে কয়েকজন। পুরো এলাকাজুড়েই তৈরি হয়েছে আতঙ্ক।
এ ঘটনায় কয়েক দফা তলব করা হয়েছে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে। বিদেশি কূটনীতিকদেরও এ বিষয়ে অবহিত করেছে ঢাকা। এবার চীনের রাষ্ট্রদূতকে জানালো ঢাকা।
চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার বিষয়েও আমরা কথা বলছি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সীমান্তে মিয়ানমারের কারণে উত্তেজনা সৃষ্টির কথা তুলে ধরা হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমরা আশা করি আগামীতে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।
বৈঠক শেষে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব খুরশিদ আলম বলেন, চীন শুধু মিয়ানমারের প্রতিবেশী নয়, সর্বোচ্চ বিনিয়োগকারী দেশও। তাই বাংলাদেশ ইস্যুতে মিয়ানমারকে চীন তাগিদ দিলে তা আমলে নেবে দেশটি।
মিয়ানমারের অস্থিরতার প্রভাব রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ওপর যেন না পড়ে সেটিও আলোচনায় তুলে ধরেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব।
বিএসডি/কাফি