শারীরিক অসুস্থতার মতোই মনের অসুখও স্বাভাবিক। তবে অনেকেই এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে লজ্জা পান। কিন্তু শরীরে রোগ বাসা বাঁধলে যেমন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন, তেমনই মনের অসুখেও একই কাজ করলে উপকার পাওয়া যায়। বলিউডের কোনো কোনো তারকা মানসিক সমস্যার জন্য মনোবিদের সাহায্য নিয়েছেন, সেটাই তুলে ধরা হলো এই আয়োজনে…
আনুশকা শর্মা
অভিনয়ের মাধ্যমে যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, তেমনই সাফল্য পেয়েছেন প্রযোজক হিসেবেও। কিন্তু ২০১৭ সালের শেষদিকে আনুশকা নিজেই জানিয়েছিলেন, তার মানসিক অবসাদের কথা। এবং সঙ্গে এমনো বলেছিলেন যে, এই অসুখ কখনই লুকানোর ব্যাপার নয়।
শাহরুখ খান
মানসিক অবসাদ সবচেয়ে ধনী কিংবা সফল মানুষেরও হতে পারে। যার বড় উদাহরণ বলিউড বাদশাহ শাহরুখ। ২০১০ সালে কাঁধে অস্ত্রোপচার হওয়ার পর তিনি মানসিকভাবে খুবই ভেঙে পড়েছিলেন। সেটি থেকে মুক্তি পেতে অনেক সময় লেগেছে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ তারকার।
আমির খান
ছোটপর্দায় আমিরের যাত্রা শুরু ‘সত্যমেব জয়তে’ দিয়ে। এ অনুষ্ঠানে সমাজের নানা অন্ধকার ও অবসাদময় দিক তুলে ধরতেন তিনি। যে কারণে ‘থ্রি ইডিয়টস’ তারকাসহ টিমের অনেকেই পরবর্তী সময়ে ডিপ্রেশনে চলে যান। পরে সবাই থেরাপিস্টের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন বলে জানা যায়।
হৃত্বিক রোশন
২০১৬ সালে এক সাক্ষাৎকারে হৃত্বিক নিজেই জানিয়েছিলেন, মানসিক অবসাদে ভুগছেন তিনি। সে সময় ‘কৃষ’ তারকা বলেন, ‘পেট কিংবা কিডনির সমস্যা নিয়ে মানুষ যেমন অবলীলায় কথা বলেন, ঠিক তেমনই মানসিক সমস্যা নিয়েও খোলামেলা আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।’
দীপিকা পাডুকোন
২০১৪ সাল, ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ ছবির শেষ পর্যায়ের শুটিং চলাকালীন হঠাৎ করেই মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন দীপিকা। সেই সময়টায় তিনি মনোবিদ ও মেডিকেশনের সাহায্য নেন। এর পর ‘বাজিরাও মাস্তানি’ তারকা একাধিকবার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেন এবং মানুষকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন। বর্তমানে এ সংক্রান্ত একটি সংস্থা রয়েছে দীপিকার।
রণবীর কাপুর
বলিউডের ‘চকোলেট বয়’ তিনি। তার প্রেমে সাড়া না পেয়ে অনেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। কিন্তু অবাক বিষয় হলো, সেই রণবীর নিজেও ভুগেছেন মানসিক অবসাদে। বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের বায়োপিকে অভিনয় করার পর মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ তারকা।
রণবীর সিং
২০১৮ সালে মুক্তি পায় আলোচিত ছবি ‘পদ্মাবত’। এতে আলাউদ্দিন খিলজির ভূমিকায় অভিনয় করতে গিয়ে রণবীর চরিত্রের সঙ্গে এতটাই গভীরভাবে মিশে গিয়েছিলেন যে, তার ব্যবহারে সেটা পরিষ্কার ফুটে উঠেছিল। ওই চরিত্র থেকে তিনি বেরোতে পারছিলেন না। পরে বন্ধুদের পরামর্শে মনোবিদের সাহায্য নেন ‘গাল্লি বয়’ তারকা।
ইলিয়ানা ডি’ক্রুজ
একবার সাক্ষাৎকারে ইলিয়ানা জানিয়েছিলেন, এক বিশেষ ধরনের অবসাদে ভুগছেন তিনি। চেহারার গড়ন নিয়ে বহুবার নিন্দুকদের তির্যক মন্তব্য শুনেছেন। তা থেকেই নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস কমে যায় বলে জানান ‘বরফি’ ছবির এই নায়িকা।