নিজস্ব প্রতিবেদক,
১৯৭৫সালের ১৫ই আগস্ট শোকাহত ভয়াল এই কালো রাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, সন্তানসহ নিহত সকল শাহাদাৎ বরণকারী বীর শহীদের স্মরণে সুনামগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
রবিবার (১৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় প্রথমে শহরের ঐহিত্যবাহি যাদুঘর প্রাঙ্গণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান শাহারীয়ারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাও কর্মচারীবৃন্দরা। পরে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ নুরুল হুদা মুকুটের পক্ষে পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হায়াতুন নবী, সদর সার্কেল মো. জয়নাল আবেদীন, সদর থানার ওসি মো. শহীদুর রহমান।
এদিকে সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখতের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অপর্ণকালে উপস্থিত ছিলেন- পৌর আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক লিটন সরকার,শফিকুল ইসলাস, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবীর ইমন, আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. হায়দার চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান, সুবীর তালুকদার বাপ্টু।
পুষ্পস্তবক অপর্ণকালে আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপলের পক্ষে, যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান সেন্টু, যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার মঞ্জুর আহমদ, সদস্য সবুজ কান্তি দাস, নুরুল ইসলাম বজলু, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. সেলিম আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মুবিন মিয়া, জেলা কৃষকলীগের আহবায়ক শান্তু মিয়া, সদস্য সচিব বিন্দু তালুকদার, সদর যুবলীগের সভাপতি এহসান আহমদ উজ্জল ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দীপঙ্কর কান্তি দে ও সাধারণ সম্পাদক রিপন মিয়াসহ প্রমুখ।
এ সময় নেতৃবৃন্দরা বলেন, ১৯৭৫ সালের আজকের দিনে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার ও আলবদরদের পাশাপাশি কিছু বিপদগামি সেনা অফিসারের লোভ লালবাসর কারণে ধানমন্ডির ৩২ নং বাড়িতে প্রবেশ করে জাতির পিতাসহ তার পরিবারের সকল সদস্যদের নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছিল। তারা ভেবেছিল জাতির পিতার হত্যাকান্ডের মধ্যে দিয়ে এদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে চিরদিনের জন্য বাধাঁগ্রস্থ করে দিবে পারবে।
কিন্তু দীর্ঘ ২১ বছর পরে জাতির পিতার উত্তরসূরী আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীরের বেশে দেশে এসে জনগণের ম্যান্ডেড নিয়ে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে তিনযুগের বেশী সময়ে আওয়ামীলীগ সরকার দেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছে।
নেতৃবৃন্দরা সকল ভেদাভেদ ভুলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী সবাইকে এক জায়গাতে এসে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড জাতির কাছে তুলে ধরার আহবান জানান।
বিএসডি/আইপি