ক্রিকেট বা ফুটবল প্রায়ই বলা হয় ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’র কথা। বাংলাদেশের জন্য এবারের বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নামের পাশে এমন তকমা দেওয়া হলে তাতে ক্রিকেট ভক্তদের আপত্তি থাকার কথা নয়। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে পেরেছেন ওই একজনই। নাম তার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ফিটনেসের ইস্যুতে দল থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। ইয়ো ইয়ো টেস্টে সবার চেয়ে কম ১৭ স্কোর ছিল তার। কিন্তু তারপরেও বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন নিজের ব্যাটিং গুণে। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহই এখন দলের সবচেয়ে বড় ভরসার প্রতীক হয়ে আছেন। বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় হার যখন চোখ রাঙানি দিচ্ছিল, তখন বুড়ো রিয়াদের কল্যাণেই মান বেঁচেছে টাইগারদের।
এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ব্যাট হাতে বাংলাদেশের সেরা তারকা রিয়াদই। ১ সেঞ্চুরিসহ করেছেন ১৯৮ রান। গড়টাও চোখে পড়ার মতোই। ৩ ইনিংস ব্যাট করে ৯৯ গড়ে রান করেছেন তিনি। এমনকি রিয়াদের সবচেয়ে বড় সমালোচনার জায়গা ছিল স্ট্রাইক রেট। বিষ্ময়কর হলেও সত্য, দলে ‘মারকুটে’ ব্যাটারদের তুলনায় রিয়াদের স্ট্রাইকরেটই বেশি।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ দলে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইকরেট বোলার শরিফুল ইসলামের। ইনিংসের শেষে ব্যাট করতে নেমে ১১২ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেছেন তিনি। এরপরেই আছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার স্ট্রাইকরেট ১০১.০২।
দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ছয় মারার কীর্তিও রিয়াদেরই। এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ছয় হাঁকিয়েছেন রিয়াদ। লিটন দাসের ১৯ চারের পর সবচেয়ে বেশি চারের কীর্তিটাও রিয়াদেরই।
বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করে শীর্ষ রান সংগ্রাহকের তালিকাতেও বড় লাফ দিয়েছেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। রানসংগ্রাহকদের তালিকায় ১৬তম স্থানে আছেন রিয়াদ।
এশিয়া কাপের আগে নেওয়া সেই ফিটনেস টেস্টে বাংলাদেশ দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৯.৫ স্কোর করেছিলেন টপ অর্ডারের সেই ব্যাটার। তবে শান্তকেই যেন এবারের বিশ্বকাপে খুঁজে পেতে কষ্ট হয়েছে সবচেয়ে বেশি। টানা দুই গোল্ডেন ডাক শান্তর। ৫ ম্যাচেই ব্যাট করেছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে শান্তর ব্যাটিং গড় আছে সবার নিচে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫৯ রানে ইনিংস বাদ দিলে বাকি চার ম্যাচে শান্তর ব্যাট থেকে এসেছে মোটে ১৫ রান। এমনকি একই হিসেবে তানজিদ তামিমও অনেকটা এগিয়ে আছেন শান্তর তুলনায়।
বিএসডি / এলএম