খেলাধূলা প্রতিনিধি:
কিন্তু প্রথম সেশনের দাপুটে ছবিটা মলিন হতে খুব বেশি সময় লাগেনি। দলীয় ১৪২ রানের সময় প্রেস্টন ম্যাকসুইনের বলে ক্যাচ তোলেন নাজমুল। ৯৯ বল খেলে ৯টি চারের সৌজন্যে ৫৪ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি। বড় ধাক্কাটা লাগে পরের ওভারে।
ব্রায়ান চার্লসের বলে চারে নামা মুমিনুল হক ক্যাচ আউট হন কোনো রান না করেই। রান খরায় ভুগতে থাকা মুমিনুল বল খেলেছেন মাত্র ৬টি। লিটন দাস ১৯ বল খেলে ৪ রান করে ধস থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। লুইসের দ্বিতীয় শিকার হয়ে তিনিও আউট হন ক্যাচ তুলে।
দলের রান তখন ৩ উইকেটে ১৫২ – ১০ রানের ব্যবধানে তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে রানের গতি কমে আসে বাংলাদেশের। এর আগে হাত খুলে খেলা তামিমও তখন খোলসে বন্দি। তার ওপর তামিম তখন নব্বইয়ের ঘরে। নতুন ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলীকে নিয়ে তাঁকে প্রথমত বিপদ সামলাতে হতো। এরপর নিজের সেঞ্চুরি।
দুটিই সামলেছেন এই অভিজ্ঞ ওপেনার। ১৬২ বল খেলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ১৪টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল তামিমের ইনিংসে। ইয়াসিরের সঙ্গে জুটি গড়ে দলের রানটাও দুই শ ছাড়িয়েছেন। ইয়াসির রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়া পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। জানা গেছে, ৩৯ বল খেলে ১১ রান করা ইয়াসির পিঠের ব্যথা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। নুরুল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের ইনিংসও দীর্ঘ হয়নি।
বাংলাদেশকে প্রস্তুতি ম্যাচটি খেলতে হচ্ছে সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই। তিনি এখনো ক্যারিবিয়ানে পৌঁছাননি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আজ (১১ জুন) তাঁর দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা। তাই নবনিযুক্ত টেস্ট অধিনায়ককে ছাড়াই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামল বাংলাদেশ।
সাকিব না থাকায় সহ-অধিনায়ক লিটনই টসের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন। টস জেতায় ডেপুটি হিসেবে লিটনের শুরুটাও মন্দ হয়নি। তবে প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ের পাশে প্রশ্নবোধক চিহ্নটি রয়েই গেল।
বিএসডি/ এমআর