নিজস্ব প্রতিবেদক
সেনা কল্যাণ সংস্থা বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত একটি কল্যাণধর্মী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। স্বাধীনতা পূর্ববতী সময়ের ‘ফৌজি ফাউন্ডেশন’ পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের ১ জুলাই দেশের আপামর জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সার্বিক কল্যাণের মহান ব্রত নিয়ে ‘সেনা কল্যাণ সংস্থা’ নামে পুনঃনামকরণ করা হয়।
জন্মালয় থেকে এখন পর্যন্ত এই সংস্থা কল্যাণের মহান ব্রত বাস্তবে রূপ দিতে এবং কল্যাণমূলক কাজকে গতিশীল করার লক্ষে ব্যবসায়িক পরিধি ও লভ্যাংশ দ্বারা বিভিন্ন আঙ্গিকে অনুদান দেওয়াসহ নানাবিধ মানবিক কল্যাণে অবদান রেখে চলেছে। জুলাই-আগস্ট এর ছাত্র জনতার গণ আন্দোলন এ আহত ছাত্র জনতার সুচিকিৎসার জন্য ও বৃহওর কুমিল্লা অঞ্চলের ভয়াবহ বন্যা এর সময় সেনা কল্যাণ সংস্থা ব্যপকভাবে অবদান রেখেছিল।
‘সেনা কল্যাণ সংস্থার পণ্য ক্রয় করুন, আর্তমানবতার সেবায় অংশ নিন’ এই স্লোগান নিয়ে এবার এর বাণিজ্য মেলার সেনা কল্যাণ সংস্থার প্যাভিলিয়ান থেকে সংস্থার উৎপাদিত সকল প্রকার পণ্যসামগ্রী প্রদর্শন ও সুলভ মূল্যে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।
সেনা কল্যাণ সংস্থার সিমেন্ট, রেডিমিক্স কনক্রিট, এলপিজি, চাল, ডাল, আটা, ময়দা, সুজি, চিনি, লবণ, চা, সরিষার তেল, পানি, বিভিন্ন ধরনের গুড়া মশলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সর্বোচ্চ গুনগতমান বজায় রেখে খোলাবাজারে ন্যায্য মূল্যে সরবরাহের মাধ্যমে বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে।
এর পাশাপাশি সেনা কল্যাণ সংস্থার বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্যান, এলইডি লাইট, কনসলন্ডের মোজা, বিভিন্ন প্রকারের সামরিক ও অসামরিক ব্যাগ ও তাবু, এয়ার টিকেট ও হোটেল বুকিং, নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তা প্রহরী সরবরাহ এবং নির্মিত ফ্ল্যাট বিক্রিসহ বিভিন্ন পযায়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
সেনা কল্যাণ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ইতোমধ্যে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হওয়াসহ নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে সেবা প্রদানের মাধ্যমে সর্বসাধারণের মাঝে একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বর্তমানে সেনা কল্যাণ সংস্থার উৎপাদিত আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিভিন্ন পণ্য নায্যমূল্যে কিনতে পেরে ক্রেতারা অত্যন্ত খুশি। বাণিজ্য মেলায় ক্রেতাদের আত্মবিশ্বা স এবং আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে সেনা কল্যাণ সংস্থার প্যাভিলিয়ন।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় তৈরি পণ্য বলে ক্রেতারা এ প্যাভিলিয়নে পণ্যের ওপর বিশ্বাসী এবং নির্ভরশীল হয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই প্যাভিলিয়নে ক্রেতা সাধারণ ভিড় করছেন এবং পণ্যও বিক্রি হচ্ছে প্রচুর। সংস্থার বিক্রয় প্রতিনিধিদের বন্ধুসুলভ আচরণে মুগ্ধ ক্রেতারা। সেনা কল্যাণ সংস্থা দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিল্পোন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রেখে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে বদ্ধপরিকর।