নিজস্ব প্রতিবেদক
অস্ট্রিয়া প্রবাসী আলোচিত সেফুদার সঙ্গে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া হেলেনা জাহাঙ্গীরের লেনদেন ছিল বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মাধ্যমে সুনাম নষ্ট করেছে ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীর। এ ছাড়া খ্যাতি লাভের আশায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে সম্মানিত ব্যক্তিদের বিব্রত করতেন। একটি উচ্চাভিলাষী উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে নানা ধরনের অবৈধ পন্থা, অপকৌশল ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন হেলেনা জাহাঙ্গীর।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পাওয়া গেছে জানিয়ে উত্তরা র্যাব সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, অপকৌশল হিসেবে কখনও মাদার তেরেসা, পল্লী মাতা-প্রবাসী মাতা হিসেবে পরিচিতি পেতে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। জাহাঙ্গীর’র পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘবদ্ধ একটি চক্র ভুয়া খেতাবের অপপ্রচার চালাতে। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রেখে নিজেকে বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতো সে।
আল মঈন বলেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়া প্রবাসী আলোচিত সেফুদা সঙ্গে ছিল হেলেনা জাহাঙ্গীরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তার সঙ্গে হেলেনা জাহাঙ্গীরের নিয়মিত যোগাযোগ এবং আর্থিক লেনদেন ছিল বলেও প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে র্যাব। আলোচিত সেফুদা হেলেনা জাহাঙ্গীরকে নাতনী বলেও সম্বোধন করতো।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ফেসবুক লাইভে এসে অযাচিত কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করতেন। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন সম্মানিত ব্যক্তিদের কটাক্ষ উত্যক্ত করতো হেলেনা জাহাঙ্গীর। বিভিন্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তার অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেন।
বিএসডি/এমএম