আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
হাসান শেখ মোহাম্মদ ২১৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আবদুল্লাহি ফারমাজো পেয়েছেন ১১০ ভোট। তিনি ২০১৭ সাল থেকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর মেয়াদ ২০২১ সালে শেষ হয়। নতুন নির্বাচন না দেওয়ায় দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট দেখা দেয়।
হাসান শেখ মোহাম্মদের বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর কারফিউ উপেক্ষা করে মোগাদিসুর সড়কে নেমে আসেন তাঁর সমর্থকেরা। ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাঁদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়। নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে দেশটিতে এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা রাজনৈতিক সংকটের অবসান হতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ফারমাজো পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন। এরপর নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন হাসান শেখ মোহাম্মদ। এ সময় দেওয়া ভাষণে সবাইকে নিয়ে কাজ করার কথা বলেন তিনি।
সাবেক প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে হাসান শেখ মোহাম্মদ বলেন, ‘এটা অবশ্যই প্রশংসনীয় যে প্রেসিডেন্ট আমার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের শত্রুতার প্রয়োজন নেই, কোনো প্রতিশোধও নয়।’ ভোট গণনার সময়ও তিনি নতুন প্রেসিডেন্টের পাশে বসে ছিলেন।
ইউনিয়ন ফর পিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির নেতা হাসান শেখ মোহাম্মদের বয়স ৬৬ বছর। পার্লামেন্টের উভয় কক্ষেই তাঁর দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। সোমালিয়ার সবচেয়ে বড় হাওয়াইয়ে গোষ্ঠীর সদস্য তিনি। সবাইকে নিয়ে কাজ করার মতো রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বিবেচনা করা হয় হাসান শেখ মোহাম্মদকে।
সুশীল সমাজের নেতা এবং শিক্ষা অনুরাগী হিসেবে হাসান শেখ মোহাম্মদের সুনাম রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মোগাদিসুর এসআইএমএডি ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাঁর ভূমিকা। প্রচারণার সময় অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি। আগের সরকারের ভুলগুলোও স্বীকার করেন হাসান শেখ মোহাম্মদ।
বিএসডি/ এমআর