বিনোদন ডেস্ক:
অবশেষে দুই যুগ পর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রথম সাক্ষী হিসেবে মামলার বাদী চিত্রনায়কের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এর পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাঁকে জেরা করেন। পরে আদালত অবশিষ্ট জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।
সংশ্নিষ্ট ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পিপি সাদিয়া আফরিন শিল্পী জানান, ২৪ বছর আগের মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। সোহেল চৌধুরীর ভাই আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আদালতের কাছে তিনি জোরালোভাবে ভাই হত্যার বিচার চেয়েছেন। তিনি বলেন, অবশেষে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হলো।
আলোচিত এ হত্যা মামলার আসামিরা হলেন- ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, সেলিম খান, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, আদনান সিদ্দিকী ও ফারুক আব্বাসী।
গত ২২ আগস্ট তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে আবেদন করেন, আইন অনুযায়ী মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের সময় শেষ হয়ে গেছে। তাই এটি দায়রা আদালতে ফেরত পাঠানো হোক। ২৪ আগস্ট সে আবেদন আদালত খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে ২৮ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করে মামলার বাদীকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়। সে অনুযায়ী গতকাল সাক্ষী আদালতে হাজির হন।
রাজধানীর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন নায়ক সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় তাঁর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে গোয়েন্দা পুলিশ।
২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। দুই বছর পর মামলার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ওই বছরই এক আসামির করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ২০১৫ সালে সে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত এলে সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বিএসডি/এফএ