আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র সৌদি আরবে ফিলিস্তিন ও জর্ডানের ৬৯ নাগরিককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে কারও কারও সর্বোচ্চ ২২ বছরের সাজাও হয়েছে। যদিও আসামিরা আগামী ৪০ দিনের মধ্যে আদালতে আপিল করার সুযোগ পাবেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবর অনুযায়ী, ২০১৮ সালের মার্চ মাসে রাজশাসন বিরোধীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে এই ৬৯ জনকেও আটক করেছিল সৌদি প্রশাসন। ফিলিস্তিন ও জর্ডানের এসব নাগরিক দীর্ঘদিন যাবত দেশটিতে বসবাস করছিলেন।
পরবর্তীকালে ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) প্রতিবেদনে এদের আটক করার প্রসঙ্গটি তুলে ধরে বলা হয়। তখন তাদের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর’ সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হলেও সৌদি সরকার এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠীর নাম প্রকাশ করেনি।
গত রবিবার রায় ঘোষণার পর এখনো সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এইচআরডব্লিউয়ের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক ডেপুটি ডিরেক্টর মাইকেল পেজ বলেছেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে ধরপাকড়, হয়রানি আর সাজা দেওয়া হচ্ছে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি আটক হন। এরপর তাদের সন্ত্রাসের মামলায় বিচারের মুখোমুখি করা হয়।
এ দিকে বিতর্কিত এ রায় ঘোষণার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। তারা বলেছে, দণ্ডিতরা সৌদি সরকারের কোনো ক্ষতিই করেননি। তাই তাদের এ সাজা দেওয়া সম্পূর্ণ অন্যায্য।
বিএসডি/এমএম