ডিজে ডেভিট গুয়েটা বলেন, ‘প্রথমবারের মতো (সৌদি আরবে) সবাই একসঙ্গে নাচার সুযোগ পেয়েছিল। এ ছাড়া সৌদি আরবের জন্য এটা ঐতিহাসিক একটা ঘটনা। এমন ঐতিহাসিক একটি মুহূর্তের অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত।’
উৎসবে নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক ব্যবস্থা ছিল না। এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশটি বড় এক পরিবর্তনের সাক্ষী হয়ে থাকল।
সংগীত উৎসবে ধর্মীয় কোনো বিধিনিষেধ দেওয়া হয়নি। কয়েক বছর আগেও সৌদি আরবে এমনটা ছিল অকল্পনীয়। এ মাসে সৌদি আরবে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন হয়েছে। লোহিত সাগর পারে ওই উৎসবের কয়েক দিনের মাথায় ‘অতি রক্ষণশীল’ বলে পরিচিত সৌদি আরবে এবার সংগীত উৎসব হয়ে গেল।
অনেকের মতে, সৌদি আরবের সমাজ যে আগের রক্ষণশীল পরিচয় ছেড়ে যে বের হয়ে আসছে, তার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে এসব উৎসব ও আয়োজন। জনপরিসরে ধর্মীয় আচার মেনে চলার বাধ্যবাধকতা সীমিত করে রাজতন্ত্রশাসিত সৌদি আরব এখন আধুনিক, উদারপন্থী, পর্যটকবান্ধব হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নানাভাবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেওয়া বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজের অংশ হিসেবে সৌদি আরবে এমন পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে।
সূত্র: এএফপি।
বিএসডি/ এলএল