নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় স্কুলের সামনে থেকে তুলে নিয়ে এক কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে মহম্মদপুর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বালিদিয়া এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পরে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার কিশোরীর মা বাদী হয়ে মহম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলার প্রধান তিন আসামিকে আটক করেছে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার আকাশ শেখ (২২), মহম্মদপুর উপজেলার আমিনুর মোল্যা (২৫) ও কামাল মিনে (২৫)। মামলার আরেক আসামি লিটন মোল্যাকে (২৯) আটক করতে পারেনি। তিনি পলাতক রয়েছেন।
পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের দরিশালধা গ্রামের ওই কিশোরীকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করত পার্শ্ববর্তী নড়াইলের লোহাগড়ার লাহুড়িয়ার হেসলাগাতি এলাকার যুবক আকাশ শেখ। বৃহস্পতিবার দুপুরে আকাশ ও তার সহযোগী আরও দুই যুবক দুটি মোটরসাইকেলযোগে ওই কিশোরীকে নহাটা বাজার এলাকার স্কুলের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়।
পরে উপজেলার বালিদিয়ার এলাকায় কামাল মিনের বাড়িতে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এ সময় ওই কিশোরীর কানের দুল ও গলার স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। পরে বিকালের দিকে ওই কিশোরকে তার বাড়ির কাছে নামিয়ে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় চারজনের নামে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, আটক তিনজনের কাছ থেকে কিশোরীর গলার ও কানের স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত আরেকজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মহম্মদপুর থানার ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, মামলার মূল আসামিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।