স্টাফ রিপোর্টার,
স্থানান্তরের সিদ্ধান্তহীনতায় টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার বেহাল দশায় পড়ে আছে।
বর্ষা মৌসুমে মেডিকেল সেন্টারের ছাদ দিয়ে পানি পড়া, দেয়াল বেয়ে পানি পড়ে রং উঠা ও শেওলা জমা, প্যাথলজি বিভাগের দরজা পেরিয়ে পানি প্রবেশ করা সহ নানাবিধ সমস্যায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।এছাড়া পানিতে স্টোর রুম একেবারেই অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
মেডিকেল সেন্টারের কর্মকর্তা-কর্মচারী সুত্রে জানা যায়, মেডিকেল সেন্টারের ভবনটি অনেক পুরাতন হয়ে যাওয়ায় প্যাথলজি বিভাগের মধ্যে ইঁদুরের উৎপাত বেড়ে গেছে। সকালে এসে দেখা যায়, ইঁদুরের বিষ্ঠায় প্যাথলজির রুম নোংরা হয়ে থাকে। যেহেতু প্যাথলজি বিভাগে অনেক মূল্যবানযন্ত্রপাতি এবং গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট থাকে তাই এটার স্থানান্তর জরুরি হয়ে পড়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, নতুন মাল্টিপারপাস বিল্ডিংটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানি হস্তান্তর করতে চাইলেও নেয়নি প্রশাসন।
অপরদিকে বর্তমানে মেডিকেল সেন্টারের বেড সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ৭১৩৬ জনের (ছাত্র-ছাত্রী ৬৩৪৭ জন, শিক্ষক ২৩৯ জন,কর্মকর্তা ২৩৮ জন, কর্মচারী ৩১২ জন) জন্য বেড সংখ্যা মাত্র ২ টি এবং তাতে ২৪ ঘন্টা ডাক্তার থাকেনা।
তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে টাঙ্গাইল শহর কেন্দ্রীক হাসপাতালগুলোতে সেবা নিতে যান। ২৪ ঘন্টা সেবা দেয়া, সেবার মান বৃদ্ধি, ডাক্তার ও প্রয়োজনীয় জনবল বৃদ্ধির দাবী সকলের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি চীফ মেডিকেল অফিসার ডা. কাওসার আহমেদ বলেন, অনেকবার ছাদ সংস্কারের কথা জানালে ইঞ্জিনিয়ারিং অফিস সংস্কার করেন। কিন্তু এরপরেও ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। পানিতে আমাদের বসার জায়গা ভেতর ও পানি চলে আসে।
এসব অভিযোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আবু তালেব জানান, মেডিকেল সেন্টারটি অনেকবার সংস্কার করেছি। এটা এখন প্রায় পরিত্যক্তের মতো অবস্থায় চলে আসছে। তাই আমরা এখন ওটা সংস্কার না করে নতুন মাল্টিপারপাস ভবনে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। কিন্তু টেকনিক্যাল কিছু সমস্যা থাকায় এখনো স্থানান্তর সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, আমাদের মাল্টিপারপাস বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ। টেকনিক্যাল কিছু কাজ বাকি রয়েছে৷ আমার মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই মেডিকেল সেন্টার মাল্টিপারপাস বিল্ডিংয়ে স্থানান্তর করে দিয়ে যাবো।
বিএসডি/এস/এমএম