নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এবং পিস্তল ঠেকিয়ে জিম্মি করে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৮ জানুয়ারি) উপজেলা মিয়াবাজার মসজিদ মার্কেটের নিচতলার প্রীতি জুয়েলার্সে এ ঘটনা ঘটে। সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্র ৩৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে।
এদিকে, ডাকাত বলে চিৎকার করায় মোশারফ হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীকে গুলি করেছে ডাকাতরা। এ সময় ডাকাত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে জনতা।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।
মসজিদ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিদিনের মতো শনিবার সন্ধ্যায় প্রীতি জুয়েলার্সসহ আশপাশের দোকানগুলোতে কেনাবেচা চলছিল। হঠাৎ পৌনে ৮টার দিকে ৫-৭ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্র ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পিস্তল নিয়ে প্রীতি জুয়েলার্সে প্রবেশ করে সবাইকে জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। পাশের বিসমিল্লাহ টেলিকমের মোশারফ হোসেন ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করায় তাকে গুলি করে সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্র।
ব্যবসায়ী রবিউল হোসেন মিলন বলেন, ‘এশার নামাজের শেষ পর্যায়ে ককটেল ও গুলির আওয়াজ শুনতে পাই। পরে বেরিয়ে দেখি মসজিদ মার্কেটের নিচতলার প্রীতি জুয়েলার্স নামের স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।’
প্রীতি জুয়েলার্সের প্রোপাইটর রবীন্দ্র দত্ত বলেন, ‘ভাতিজা পলাশ দত্ত দোকানে ছিল। রাত ৮টার দিকে ৫-৭ জনের একটি চক্র ককটেল বিস্ফোরণ ও পিস্তল ঠেকিয়ে সবাইকে জিম্মি করে আনুমানিক ৩৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। পরে ব্যবসায়ীরা সন্দেহভাজন এক ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সন্দেহভাজন ডাকাতকে থানায় নিয়ে যায়। এ ছাড়া একটি নোয়া মাইক্রোবাসও উদ্ধার করে পুলিশ।’
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, মিয়াবাজার স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় জনতা এক ডাকাতকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। অপর ডাকাতদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।