নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ১৯৯৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক সম্মেলনে মাত্র কয়েকজন চিকিৎসকের সমন্বয়ে এডহক কমিটি গঠনের মাধ্যমে স্বাচিপ আত্মপ্রকাশ করে। নানা চড়াই উৎরাই পেড়িয়ে আজ ২৮ বছরে পা দিল স্বাচিপ।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সংগঠনটি। সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে ধানমন্ডি-৩২ এ বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল এ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়।
আজ বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিলন হলে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
জানা গেছে, স্বাচিপের প্রতিষ্ঠাকালে অধ্যাপক এম. এ. কাদেরী সভাপতি ও মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন।
২০০৩ সালের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে অধ্যাপক আ ফ ম রুহুল হক সভাপতি ও অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সলান মহাসচিব নির্বাচিত হোন। ২০১৫ সালে ১৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে স্বাচিপের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শেখ হাসিনা সম্মেলনে কমিটির ভার স্বাচিপের নেতৃবৃন্দের ওপর ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে এম ইকবাল আর্সলান সভাপতি ও এম এ আজিজ মহাসচিব নির্বাচিত হোন।
স্বাচিপের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি দুই বছরে একবার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার বিধান রয়েছে। সম্মেলনের মাধ্যমে স্বাচিপের কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচিত হয়। তবে সূচনাকাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মাত্র চারটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি ও মহাসচিবসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে সরাসরি নির্বাচনের সুযোগ আছে। ২০১৫ সালের ১৯ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা ১০১ থেকে বাড়িয়ে ১৫১ করা হয়। এছাড়া স্বাচিপের বিভিন্ন আঞ্চলিক শাখা রয়েছে।
প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে স্বাচিপের গঠনতন্ত্রের মুখবন্ধে বলা হয়, ‘স্বাধীনতা অর্জনের ২৩ বছর পার হওয়ার পরও স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিষ্প্রভ এবং মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি ক্ষমতা ও ক্ষমতার বাইরে পুনর্বাসিত। এ অবস্থায় মহান মুক্তিযুদ্ধে পেশাজীবিদের মধ্যে সর্বোচ্চ আত্মদানকারী চিকিৎসক সমাজ নিশ্চুপ বসে থাকতে পারে না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি যে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল তা সুসংহত করতে ও জনস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণসহ চিকিৎসকদের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের চিকিৎসকরা ‘স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ’ গঠন করেছেন।
বিএসডি/জেজে