নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বামী জলিল মিয়া জাল নোট তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। তার অবর্তমানে এই ব্যবসা দেখভাল করছেন তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার। বেশি লাভের আশায় জাল নোট তৈরির সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ে সে। এসব নোট দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় কেনাকাটাও করে সেলিনা আক্তার।
জাল নোট দিয়ে বাজারে কেনাকাটা করতে গিয়ে ধরাও পড়ে সে। পরবর্তীতে আসল নোটের আড়ালে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উৎকোচ হিসেবে এসব জাল টাকা দিয়েই ছাড়াও পেয়েছে সে।
র্যাব প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানতে পারে, সেলিনা আক্তার মূলত কামরাঙ্গীরচরের একটি বিউটি পার্লারে বিউটিশিয়ান হিসেবে কাজ করতো। আর এই পেশার আড়ালেই স্বামী জেলে থাকায় স্বামীর সহযোগী ছগির হোসেনের সঙ্গে জাল নোট তৈরি ও সরবরাহের কাজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল সে। এগুলো তৈরির পর বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে নতুন টাকা বিক্রির ছলে জাল নোট সরবরাহ করতো সেলিনা আক্তার। বিশেষ করে চলমান বাণিজ্য মেলাকে কেন্দ্র করে জোরালো অপতৎপরতার পরিকল্পনা ছিল চক্রটির। তাদের মূল টার্গেট ছিল, বাণিজ্য মেলা থেকে জাল টাকায় বিভিন্ন পণ্য কিনে রাজধানীর বিভিন্ন দোকানে এসব পণ্য বিক্রি করে দেওয়া। তবে র্যাবের অভিযানে তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়ে যায়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, জাল টাকা তৈরি ও সরবরাহের সঙ্গে জড়িত থাকায় গ্রেফতারকৃত সেলিনা আক্তারের স্বামী এর আগেও একই অপরাধে ২০১৭ সালে জেল খাটে। এখনও কারাগারে রয়েছে। স্বামীর মাধ্যমে এই চক্রের মূল হোতা ছগিরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। স্বামী জেলে থাকায় সে নিজেও এ চক্রে জড়িয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজনের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্যগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর মিরপুর মডেল থানা এলাকা থেকে প্রায় ২৯ লাখ জাল টাকাসহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের অন্যতম হোতা মো. ছগির হোসেন (৪৭), সেলিনা আক্তার পাখি (২০), রুহুল আমিনকে (৩৩) গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় এক কোটি ২০ লাখ টাকা সম মূল্যের জাল নোট।
বিএসডি /আইপি