প্রশ্ন এসেছে চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ ছিল কি-না, এটি অবশ্যই বাস্তববাদী প্রশ্ন। বেগম খালেদা জিয়ার উচিত এটির প্রমাণ নিশ্চিত করা। স্বামী ভেবে যাকে ফুল দিচ্ছেন, অন্য কেউ যদি থাকে সেখানে? সেখানে যদি আপনার স্বামী না থাকে? এটি আপনারই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এক ওয়েবিনারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি এমন আহ্বান জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
রোববার (২৯ আগস্ট) দুপুর ১২টায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ আয়োজনে ‘স্মৃতিতে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগস্ট বেদনার মাস, এ মাস আসলেই আমরা শোকাহত থাকি। এই মাসেই গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল, জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মানব বর্ম তৈরি করে তাকে রক্ষা করলেও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণীসহ ২৪ জন মারা গিয়েছিলেন। এই আগস্ট মাসেই বঙ্গবন্ধুর পরিবার নির্মম-নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে ব্রিজ নেই, কালভার্ট নেই, বিদ্যুৎ নেই। এরপর ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে ২৭ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। সব কিছু কাটিয়ে যখন বঙ্গবন্ধু দেশকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে নিয়ে আসার জন্যে কাজ করছেন, তখন মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সহযোগিতায় জিয়াউর রহমানের পরিকল্পনায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পটভূমি তৈরি করেছিল। বিএনপি আজকে শিষ্টাচারের কথা বলে, সেদিন কোথায় ছিল তাদের শিষ্টাচার। যেদিন বেগম খালেদা জিয়া সন্তান হারান, একজন মমতাময়ী মা ছুটে গিয়েছিলেন, আরেকজন মাকে সান্ত্বনা দিতে। খালেদা জিয়া দরজা পর্যন্ত খোলেননি, কোথায় ছিল সেদিন শিষ্টাচার?
ওয়েবিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. শরীফ এনামুল কবির ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. কামালউদ্দীন আহমদ। সমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ইমদাদুল হক।
বিএসডি/এমএম