নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধক টিকা প্রদানে সরকারের খরচে দুর্নীতি হচ্ছে জানিয়ে অবিলম্বে তা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। সামগ্রিকভাবে ব্যর্থতার দায়ে তিনি অবিলম্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের অপসারণ দাবি করেন।
রবিবার (১ আগস্ট) ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এক নাগরিক সংবাদ সম্মেলনে জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন। “করোনা মোকাবেলা, শ্রমিকদের হয়রানি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এ নাগরিক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়”।
সংবাদ সম্মেলনে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলার ব্যাপারে লাগাতার টালবাহানা করে যাচ্ছে। সরকারের বিবেচনাহীন এই সিদ্ধান্ত কোটি কোটি শিক্ষার্থীর জীবনই কেবল ক্ষতিগ্রস্ত করেনি, গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকেই এখন প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন- নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করবেন না: হানিফ
অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়ার দাবি জানান সাকি। তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাসের সময়সীমা এবং কর্মদিন কমিয়ে এনে হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে, এর কোনও বিকল্প নেই।’
‘ভ্যাকসিন সংগ্রহ এই মূহুর্তে সরকারের প্রধান কাজ’ উল্লেখ করে গণসংহতিপ্রধান বলেন, ‘ক্রয়ের স্বচ্ছতা আমরা চাই, কিন্তু যে দামেই ভ্যাকসিন পাওয়া যাক, তাতেই আমাদের ভ্যাকসিন ক্রয় করা উচিত, কেননা লকডাউনের আর্থিক ক্ষতি ভ্যাকসিনের আপাত উচ্চ দামের চেয়ে অনেক বহুগুণ বেশি।’
সংবাদ সম্মেলনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘অগণতান্ত্রিক সরকারের একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তের কারণে করোনা মোকাবিলা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সরকার গার্মেন্টস শ্রমিকদের সাথে অমানবিক নির্যাতন করে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়াশুনা বন্ধ করে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হোক নূর বলেন, ‘মানুষ তীব্র ভোগান্তি নিয়ে ঢাকায় আসায় আমরা যখন সমালোচনা করেছি তখন ৩১ জুলাই সন্ধ্যায় সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে, গণপরিবহন রবিবার ১২টা পর্যন্ত চলবে। এটা স্পষ্ট যে সরকারের কাজের সমন্বয়হীনতা এবং এ সমন্বয়হীনতা হয়েছে গতবছরের শুরু থেকে। লকডাউন দেওয়া, গার্মেন্টস খোলা, শ্রমিকদের ঢাকা আনা-নেওয়া নিয়ে অন্তত পাঁচবার এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন‑ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না, সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম প্রমুখ।
বিএসডি/এমএম