প্রযুক্তি ডেস্ক:
দেশে মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর শতকরা ৩৫ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। সারাদেশে ফোরজি নেটওয়ার্ক ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সম্প্রসারিত হওয়ায় খুব সহসাই স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে শতকরা ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০০৮ সালে দেশে মাত্র ৮ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার হতো। বর্তমানে তা সাড়ে ২৬শ’ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এ বছরেই ফাইভজি যুগে প্রবেশ করছি। আর প্রযুক্তির এ আধুনিক ভার্সনটি হবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পণ্য। মন্ত্রী দেশের আধুনিক প্রযুক্তি পণ্যের হাব হিসেবে পরিচিত বিসিএস কম্পিউটার সিটিকে প্রচলিত ডিজিটাল পণ্যের পাশাপাশি আধুনিক ডিজিটার ডিভাইসের হাব হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটালাইজেশনের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সচেতনতার অভাব। জনগণকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ততা করার পাশাপাশি প্রযুক্তির বিষয়ে শিক্ষিত করা অপরিহার্য। এ বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি বিসিএসসহ সংশ্লিষ্ট ট্রেডবডিসমূহকে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে ১৯৯৮ সালে কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়, রচিত হয় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের সোপান। গত ১২ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
বিসিএসের সাবেক সভাপতি মোস্তাফা জব্বার ১৯৮৭ সালের পর থেকে কম্পিউটার প্রযুক্তি এবং এর ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে কম্পিউটার মেলাসহ বিসিএসের নানা উদ্যোগের কথা বর্ণনা করেন।
তথ্য প্রযুক্তি বিকাশে জামিলুর রেজা চৌধুরী (জেআরসি) রিপোর্ট বাস্তবায়নে বিসিএসের অবদান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, কমিটির ৪৫টি রিপোর্টের মধ্যে ২৮টি রিপোর্ট বাস্তবায়নে বিসিএস ভূমিকা পালন করে। ডিজিটালাইজেশনের জন্য বঙ্গবন্ধুর রোপণ করা বীজটি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারা গাছে রূপান্তর করেন। গত ১২ বছরে শেখ হাসিনার হাত ধরেই তা বিরাট মহিরূহে রূপ লাভ করেছে।
অনুষ্ঠানে বিএসএস সভাপতি শাহিদ-উল মুনীর, সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ এইচ কাফি, আহমেদ হাসান জুয়েল, সবুর খান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুনেম রানা, বিসিসিএস সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনি, বিসিএস নেতা ভূঁইয়া এনাম লেলিন, রফিকুল আনোয়ার, হাবিবুর রহমান শাহীন, মঈনুল ইসলাম মইন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মন্ত্রী পরে বিসিএস কম্পিউটার সিটির ২২ বছর পদার্পণ উপলক্ষে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন।
বিএসডি/আইপি