নবাবগঞ্জ প্রতিবেদক:
৪৯২ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জ, জিনজিরা, দোহার, শ্রীনগর, নবাবগঞ্জ এলাকা দিয়ে নির্মিত প্রায় ৭৩ কিলোমিটার মহাসড়কের বক্সনগর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় একটি অংশ ধসে পড়ছে। চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, অতি নিম্নমানের ইট, বালু ও পাথর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কারণেই এক বছরের মাথায় রাস্তার গার্ডার ধসে পড়েছে নদীতে।
সরেজমিন দেখা যায়, ৪৯২ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রায় ৭৩ কিলোমিটারের এ সড়কে নবাবগঞ্জের বক্সনগর এলাকার ইছামতি নদীসংলগ্ন সড়কের একটি অংশ ইতোমধ্যে ধসে পড়েছে। যে কোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে রাস্তার অধিকাংশ জায়গা। প্রতিনিয়ত চলাচল করা বাস-ট্রাকসহ যানবাহন বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পতিত হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
উপজেলার বক্সনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা শেখ মেহেদী হাসান স্বপন বলেন, নবাবগঞ্জের ব্যস্ততম জনবহুল এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছেন। দ্রুত সড়কটি মেরামত করা উচিত। তা না হলে যে কোনো সময় বড় কোনো দুর্ঘটনায় প্রাণনাশের সম্ভাবনা রয়েছে।
অটোরিকশা (সিএনজি) চালক মো. সাগর মিয়া জানান, প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন এ সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করে। সড়কটি নদীগর্ভে চলে গেলে এ অঞ্চলের মানুষ ও ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ জেলার জনসাধারণ ঢাকায় পৌঁছতে বিরাট সমস্যায় পড়বেন।
সড়ক ও জনপদের (সওজ) অধীনে এ সড়কটির সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা প্রতিবাদ ও বিভিন্ন মহলকে অবহিত করলেও টনক নড়েনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। এতে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচএম সালাউদ্দীন মনজু বলেন, সড়কটির ধসে যাওয়া স্থান মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের বিষয়ে কাজ করবেন বলে আশা রাখি।
সড়কটির এ বেহাল দশার বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সড়ক ও জনপদের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী নাইম রেজা বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমাদের ২ বছর আগে কাজ বুঝিয়ে দেয়। নদীতে মাটি ও বালু উত্তোলনের কারণে সড়কের কিছু অংশে সমস্যা হতে পারে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দ্রুত সমাধান করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
মাছুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লি. ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মাছুদের মোবাইলে ফোন করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বলেন এটা রং নাম্বার। তারপর সংযোগ কেটে দেন।
বিএসডি/জেজে