আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফ্রান্স থেকে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পথে মৃত ২৭ জনের মধ্যে প্রথম একজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে।
শনাক্তকৃত একজন ২৪ বছর বয়সী কুর্দিস নারী। তারর নাম মারিয়াম নুরি মোহাম্মদ আমিন। নুরি উত্তর ইরাকের বাসিন্দা ছিলেন।
ভুক্তভোগী মারিয়াম নুরির বাগদত্তা বর্তমান যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। বিবিসি নিউজকে তিনি নুরির পরিচয় নিশ্চিত করে বলেন, ডিঙ্গি নৌকা ডুবে যাওয়ার সময় নুরি তাকে ম্যাসেজ দিয়েছিল। তাদের উদ্ধার করা হবে বলেও আত্মবিশ্বাসী ছিল নুরি। কিন্তু সাহায্য পৌঁছতে দেরি হয়ে যায়। ফলে ছয়জন নারী, তিনজন শিশুসহ মোট ২৭ জনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় জেলরা জানান, অন্যদিনের তুলনায় বুধবার যুক্তরাজ্য-ফ্রান্সকে বিভক্তকারী এই সাগরের পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। আর এর সুবিধা নিতেই অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি মানুষ ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছতে নৌকায় উঠে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আলজাজিরার খবরে আরও বলা হয়, ইংলিশ চ্যানেলে একটি খালি ডিঙ্গি নৌকা এবং আশপাশে বহু নিশ্চল ও নিথর মানুষকে ভেসে থাকতে এক ব্যক্তি উদ্ধারকারী সংস্থার কাছে ফোন দেন। এরপরই ফ্রান্স ও ব্রিটেন যৌথভাবে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। উভয় দেশের এই উদ্ধার তৎপরতায় কমপক্ষে তিনটি নৌকা এবং তিনটি হেলিকপ্টার অংশ নেয়।
অবশ্য, ইংলিশ চ্যানেলে নৌকাডুবির এমন ঘটনা এটিই প্রথম নয়। অতীতে সাঁতার কেটে ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে যুক্তরাজ্যে যেতে চেষ্টা করে অসংখ্য শরণার্থী। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ইংলিশ চ্যানেল পার করার সময় ১৩০০ শরণার্থীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছিল ফরাসি সরকার। এছাড়া ২০১৯ সালে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছিল। আর ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত যুক্তরাজ্য-ফ্রান্সকে বিভক্তকারী এই পানিতে সাত জনের মৃত্যু হয়।