নিজস্ব প্রতিবেদক
ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের নির্মম হামলার প্রতিবাদ ও গাজাবাসীরা ঢাকা হরতাল সমর্থনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে রওনা হয়েছেম হাজার হাজার মুসল্লি। এসময় তারা ‘ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ, ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ’, ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার’, ‘ইসরায়েলের কালো হাত, ভেঙে দাও ভেঙে দাও’—স্লোগান দিতে থাকেন।
সোমবার (৭ মার্চ) দুপুর সোয়া ২টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে রওনা দেন। মিছিলের নেতৃত্ব দেয় জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ।
এরআগে বাদ জোহর মসজিদের পাদদেশে আয়োজিত বিশ্বব্যাপী মজলুম গাজাবাসীদের ডাকা হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশ করে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ।
শীর্ষ ওলামা মাশায়েখরা বলেন, ইসরায়েল একটি সাপ। আমরা শুধুমাত্র সাপের লেজ নিয়ে কথা বলছি। কথা বলতে সাপের মাথা নিয়ে। আর সেই মাথা হচ্ছে আমেরিকা। তারাই অস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে। ইসরায়েলের ব্যবসার লাল বাত্তি জালিয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশে ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করতে হবে। যেসব দোকানে ইসরায়েলি পণ্য বিক্রি করা হয়, প্রয়োজনে সেসব দোকান বয়কট করতে হবে।
তারা প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের উদ্দেশ্য বলেন, আপনি আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়। আপনি আমাদেরকে ফিলিস্তিনে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিন। যত রক্ত লাগে, আমরা দেব। আগে আমাদের পাসপোর্টে একসেপ্ট ইসরায়েল ছিল। কিন্তু ভারতের পা চাটা গোলাম আওয়ামী লীগ সরকার সেটি তুলে দিয়েছে।
এর আগে দুপুরে একটা ১৫ মিনিটে বায়তুল মোকাররম মসজিদে শুরু হয়েছে জোহরের নামাজ। দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে শেষ হয় নামাজের কার্যক্রম। তরপর মসজিদ থেকে বেরিয়ে তারা বলে ওঠেন নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবার। পরে তারা মসজিদের উত্তর পাদদেশে সমাবেত হোন। এখানে সবাই একসঙ্গে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়াতে শুরু করেন। আর স্লোগানে গলা মেলান।
নামাজে অংশ নিতে শতশত মুসল্লি এখানে আসেন। আগত মুসল্লিদের অনেকের হাতেই ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা। মাথায় ছিল ছোট ব্যানার।