এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় কোচিং বহর নিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ১৫ জনের দলের সঙ্গে আছেন ৮ জন কোচ। যদিও বেশিরভাগ দলেই কোচের সংখ্যা ৪ কিংবা ৫। টিম টাইগার্সের কোচিং প্যানেলে বড় তিনটি পদ-হেড কোচ, টিম ডিরেক্টর ও টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট।
টিম ডিরেক্টর হিসেবে দলের সঙ্গে আছেন খালেদ মাহমুদ সুজন এবং বিশ্বকাপ অভিযানে পরামর্শক হিসেবে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় কোচ শ্রীধরন শ্রীরামকে। এ ছাড়া প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তো রয়েছেনই।
কোচদের বলা চলে আড়ালের নায়ক। কিংবা পাপেট মাস্টার। মাঠে না থেকেও খেলার পেছনে অদৃশ্য সুতা ধরে রেখে ম্যাচের গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করেন একেকজন কোচ। ফুটবলের মত ডাগআউটে ব্যস্ত সময় পার না করলেও ড্রেসিংরুম থেকে কিংবা ম্যাচের আগে খেলোয়াড়দের তৈরি করার কাজটা করেন কোচরাই। কিন্তু বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় কোচিং বহর বাংলাদেশের ডাগআউটে কোচদের কাজটা কী এ নিয়ে জিজ্ঞাসার শেষ নেই। অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট! বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যদের দেখে এই প্রবাদ মনে পড়তে বাধ্য।
তিনজনের কাজের ধরন বেশ বিভ্রান্তিকর। ধরে নেওয়া হচ্ছে, অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে নিয়ে রণকৌশল তৈরির মূল কাজ হাথুরুর। কিন্তু বাকি দুজনের কাজ কী? তিনজনেরই কি একই কাজ? দলে কার ভূমিকা কী তা নিয়ে কখনো স্পষ্ট কিছু বলেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। জানালেন, কারোরই নির্দিষ্ট কোনো ভূমিকা নেই, সবার যখন যেটা ভালো মনে হয় করতে পারেন। আর এই প্রক্রিয়ায় খুশিও তিনি।
হাথুরুর কাছে জানতে চাওয়া হয় এই তিন জনের মাথার বুদ্ধিতে সবকিছু একটু গোলমেলে করে দিচ্ছে কি না? জবাবে হাথুরু বললেন, ‘এটা ভালোভাবেই চলছে। এখানে যারা এসেছে, খালেদ (সুজন) তাদের ম্যানেজার। শ্রীরাম পরামর্শক আর আমি হেড কোচ। ভালোভাবেই চলছে সব আর আমিও খুশি। নির্দিষ্ট দায়িত্ব বলতে কিছু নেই। তারা চাইলে যেকোনো কিছুতেই অবদান রাখতে পারে। আমি তাতে খুবই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবো।’
ভারতে দলের সঙ্গে আছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুসও। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন যোগ দিলে ‘ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ’ আরও বড় হয়ে যাবে। তখন নিশ্চিতভাবে বিশ্বকাপের সবচেয়ে ভারী থিংক ট্যাংক হবে বাংলাদেশের!
বিএসডি / এলএম