আব্দুল্লাহ আল মুবাশ্বির,হাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) নির্মাণাধীন দশ তলা ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরের স্টোর রুম থেকে ২৪৬ কয়েল ইলেকট্রিক তার চুরি হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা।
ইলেকট্রিক তার চুরির বিষয়টি শনিবার (২৬ জুন) নিশ্চিত করেছেন নির্মানাধীন দশ তলা ভবনের প্রকল্প ম্যানেজার রানা সেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো: তারিকুল ইসলাম।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দশ তলা ভবনের স্টোর রুমের দরজার হ্যাসবোর্ড ভাঙা। তালা না ভাঙতে পারলেও সরাসরি দরজার এই হ্যাসবোর্ড ভেঙেই রাতের অন্ধকারে তারগুলো চুরি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্টোর রুমে বিভিন্ন রঙের ইলেকট্রিক তারের কয়েল ছাড়াও রঙের ড্রাম, টাইলসসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ছিলো। এরমধ্যে ১.৫ কালো তার ৭৫ কয়েল, ১.৫ লাল তার ২৬ কয়েল, ২.৫ লাল তার ১০০ কয়েল এবং ২.৫ কালো তার ৪৫ কয়েলসহ সর্বমোট ২৪৬ কয়েল ইলেকট্রিক তার চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে নির্মাণাধীন দশ তলা ভবনের প্রকল্প ম্যানেজার রানা সেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘আজ সকালে এসে দেখি স্টোর রুমের হ্যাসবোর্ড ভেঙে অনেক তার চুরি হয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি কিভাবে তারগুলো চুরি হলো। এ ব্যাপারে এখন কিছু বলতে পারবো না’।
ইন্জিনিয়ারিং শাখার সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইন্জিনিয়ার মো: তারিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘দশতলা ভবনের স্টোর রুমের দরজার হ্যাসবোর্ড ভেঙে থেকে ২৪৬ কয়েল তার চুরি হয়েছে। আমি প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কন্টাক্টটরকে ফোন দিয়েছিলাম এ ব্যাপারে জানার জন্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি ফোন রিসিভ করেননি’।
সরঞ্জাম চুরির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কিছু জানি না। তারগুলো চুরি হলে এর দায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিতে হবে। তাদের নিজস্ব সিকুরিটি গার্ড ছিলো সেখানে। আমরা এখনো কাজ হ্যান্ডওভার পাইনি।সুতরাং তাদেরকেই এই তার চুরির দায়ভার নিতে হবে’। উল্লেখ্য, এর আগেও হাবিপ্রবিতে একাধিক চুরির ঘটনা ঘটে। গত বছরের অক্টোবর মাসে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হলের গণরুমে ব্যাপক চুরি হয়। ঐ চুরির ঘটনায় গণরুম থেকে প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থীর মূল্যবান অনেক জিনিসপত্র হারিয়ে যায়। চলতি বছরের মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের একাধিক রুমে চুরি হয়। এরপর গত এপ্রিল মাসে চুরি করতে এসে নিরাপত্তা প্রহরীর হাতে আটক হয় এক চোর। বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক নিরাপত্তা প্রহরী থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত চুরির ঘটনায় বিস্মিত শিক্ষার্থীরা।
হাবিপ্রবি/এ/এল/এম/এমএম