খুবি প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) আইন ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তারিক আনামের পরিবারের চার সদস্যকে মারপিট এবং তার বাসায় ভাংচুর ও লুঠপাট করে দুর্বৃত্তরা।
গত ১৬ অক্টোবর সকালে কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল যুবক বাড়িতে এসে তারিকের বোনকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকে বাঁধা দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে গ্রামবাসীরা এসে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করে। সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ অক্টোবর (রবিবার) ভুক্তভোগী সোহরাব গাজী (তারিক আনামের বাবা) বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামী করে আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ভুক্তভোগী জানান, ৮-১০ জন নেশাগ্রস্ত যুবক হিজলিয়া গ্রামের স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের উত্যক্ত করতে থাকে। তাদের জঘন্য কর্মকান্ডে হিজলিয়া গ্রামের সোহরাব গাজীর মেয়ে (প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় নাম উল্লেখ করা হয়নি) ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ ১৫ই অক্টোবর প্রতিবাদ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পরদিন সকাল ১০ টার দিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে খুশিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার বাড়িতে প্রবেশ করে। ঘর থেকে তাকে চুলের মুঠি ধরে বাহিরে নিয়ে আসলে তার ভাই কবির বাঁধা দিলে তাকে বেদম মারপিট করে জখম করে। খুশির মা রাজিয়া খাতুনসহ বাড়ির সকলে মেয়েকে উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকে টানাহেঁচড়া করতে থাকে। তাদের চিৎকারে ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সিদ্দিক গাজী ও গ্রাম পুলিশ রহমত আলী ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে তাদেরকেও মারতে উদ্ধত হয়। এরপর গ্রামবাসীদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ভুক্তভোগীরা আরও জানান, অভিযুক্তদের তিনজন জামিনে মুক্ত হয়ে এবং অন্যান্যরা গ্রামে এসে তাদেরকে নানারকম ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। পুরো পরিবার এখনো চরম নিরাপত্তাহীনতা ও শঙ্কায় দিনাতিপাত করছেন। এ বিষয়ে আশাশুনি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গোলাম কবির বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে ইতোমধ্যে মামলা করেছে। দুইজন আসামীকে আমরা গ্রেফতার করেছি এবং তিনজন জামিনে মুক্তি পেয়েছে, বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
হুমকি দেয়ার মত যদি কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে ভুক্তভোগীদের থানায় এসে সাধারণ ডায়েরি করতে হবে, আমাদের জানাতে হবে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ছাড়া তো আমরা কিছু করতে পারবো না। তারা অভিযোগ করলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।
বিএসডি /আাইপি