বর্তমান সময় ডেস্ক:
এ যেন গুপ্তধন পাওয়া! পুরনো ইমেইল খুঁজতে স্পাম ফোল্ডারে ঢুকেছিলেন এক নারী। আর তাতেই তার কপাল খুলল তার। খুঁজে পেলেন তিন মিলিয়ন ডলারের লটারি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকারও বেশি।
সাধারণত ইমেইল স্পাম ফোল্ডারে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার প্রচারকেন্দ্রিক মেইলগুলো জমা হয়। এই মেলগুলো নিজে থেকেই ঢুকে যায় স্পাম ফোল্ডারে, যাতে জরুরি ইমইল খুঁজতে ব্যবহারকারীর অসুবিধা না হয়। তবে এ ক্ষেত্রে ওই স্পাম ফোল্ডারেই লুকিয়ে ছিল ৩০ লাখ ডলারের লটারি জেতার খবরটিও। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকারও বেশি।
গত ৩১ ডিসেম্বর ওই লটারির টিকিট কেটেছিলেন লরা স্পিয়ার্স নামের ওই নারী। লরার কাটা টিকিটের নম্বরটিই লটারির খেলায় সর্বোচ্চ পুরস্কারপায়। কিন্তু লরা নিজেই ভুলে গিয়েছিলেন টিকিটটির কথা।
আমেরিকার ওকল্যান্ডের বাসিন্দা লরা জানিয়েছেন, তিনি আগে কখনও লটারির টিকিট কাটেননি। বছরের শেষ দিনে হঠাৎ ঝোঁকের মাথাতেই ওই টিকিটটি কেটে ফেলেন। লরার কথায়, ‘‘আমি শুনছিলাম মিশিগান লটারির মেগা মিলিয়ন ড্রয়িংয়ে অনেকেই পুরস্কার পাচ্ছেন। তাই আমিও একটা টিকিট কিনে নিয়েছিলাম ।’’
প্রায় ১৫ দিন পরও তার ইনবক্সে কোনও ইমেইল না আসায় লরা ভেবেছিলেন, তার টিকিটটি পুরস্কার জেতেনি। এক বন্ধুর কাজের প্রয়োজনেই পুরনো ইমেইল খুঁজতে স্পাম বক্সে ঢুকেছিলেন লরা। সেখানেই লটারি জেতার ইমেইলটি আবিষ্কার করেন তিনি।
লরার টিকিটের নম্বর ছিল ২-৫-৩০-৪৬-৬১। লটারি সংস্থা জানিয়েছে পাঁচটি নম্বরই মিলে যায় লাকি ড্রয়ে। যার ফলে লটারির সর্বোচ্চ পুরস্কার ৩০ লাখ ডলার পেয়ে যান লরা।
লটারির পাওয়ার পর তিনি কী করবেন জানতে চাওয়া হয়েছিল লরার কাছে। লরা বলেছেন, আগে আমার ইমেইলের সেটিং বদলাব। যাতে ভবিষ্যতে আর লটারি জেতার খবর মিস না হয়ে যায়!
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
বিএসডি/ এলএল