আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনকে দমন করার সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। জেনেভায় বুধবার (৫ মার্চ) মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈশ্বিক আপডেটের ৫৮তম অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।
প্রতিবেদনটি উপস্থাপনের সময় ভলকার তুর্ক জানান, গত বছরের সহিংসতার কারণে বাংলাদেশ কঠিন সময় পার করেছে। হাসিনা সরকার বিক্ষোভকারীদের ‘নৃসংভাবে দমন’ করেছে উল্লেখ করেন তিনি। এতে করে বাংলাদেশে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ এখন নতুন ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করছে এবং তাদের এই প্রতিবেদন এক্ষেত্রে ‘বড় ভূমিকা’ রাখবে বলে আশা তার।
এরআগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন। এতে বলা হয়, সাবেক (পতিত) সরকার এবং এর নিরাপত্তা ও গোয়েন্দাবাহিনী আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সহিংস উপায় ব্যবহার করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এসব ঘটনায় অধিকতর ফৌজদারি তদন্তের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে ওই সময় জানায় সংস্থাটি।
১১৪ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদন বলা হয়, আন্দোলন দমনে শতশত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বলপ্রয়োগ করা হয়। একইসঙ্গে নির্বিচারে আটক, নির্যাতন এবং অন্যান্য ধরনের নিগ্রহের ঘটনা ঘটে।
বিক্ষোভ এবং ভিন্নমত দমনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের অবগতি, সমন্বয় এবং নির্দেশনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের এসব ঘটনা ঘটেছে বলেও জানায় তারা।
বাংলাদেশের আমন্ত্রণে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত অভিযুক্ত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অবমাননা বিষয়ে একটি স্বাধীন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন পরিচালনা করে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন। এতে তারা হাসিনা ও তার সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পায়।