ক্রীড়া ডেস্কঃ
তালেবানরা আফগানিস্তানের দখলে নেওয়ার পর বদলে গেছে গোটা দেশের চিত্র। দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নারী অধিকার নিশ্চিতের প্রতিশ্রতি দিলেও প্রতিনিয়তই মেয়েদের ওপর নানারকম বিধিনিষেধ চাপিয়ে দিচ্ছে তালেবান। এই বিধি নিষেধের মধ্যে পড়েছে মেয়েদের খেলাধুলা। ইতোমধ্যেই মেয়েদের ক্রিকেট খেলায় নিষেধাজ্ঞা এনেছে তালেবানরা। মেয়েদের ক্রিকেট নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে আফগানিস্তানের সঙ্গে টেস্ট না খেলার ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
নিয়ম অনুযায়ী একটি পূর্ণ সদস্য টেস্ট খেলুড়ে দেশের নারী ক্রিকেট দল থাকা আবশ্যক। আফগানিস্তানে মেয়েদের ক্রিকেট নিষিদ্ধ থাকলে তাদের টেস্ট মর্যাদাও পড়বে হুমকিতে। আগামী নভেম্বরে আইসিসির সভায় বাকি বোর্ডের মতামতের ভিত্তিতে এমন একটি সিদ্ধান্ত চলে আসতে পারে।
এই অবস্থায় বিবৃতি পাঠিয়ে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা জানিয়েছে আফগান ক্রিকেট বোর্ড। এসিবি প্রধান নির্বাহী হামিদ শেনওয়ারি বলেন, ‘আমরা ভয় পাচ্ছি অন্য দেশও যদি অস্ট্রেলিয়ার পথে হাঁটে তাহলে আমারা ক্রিকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারি। আফগানিস্তানের ক্রিকেট হুমকির মুখে পড়তে পারে। দয়া করে আমাদের জন্য দরজা খোলা রাখুন।’
আফগানিস্তানের তালেবানদের নতুন সরকার নারী ক্রিকেটের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের মধ্যকার একটি টেস্ট ম্যাচ আর মাঠে গড়াবে না- এটা মোটামুটি নিশ্চিত।
হোবার্টে নভেম্বরের ২৭ তারিখ শুরু হওয়ার কথা এই টেস্ট ম্যাচ, কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বলছে, যদি নারীদের ক্রিকেট খেলার বিরুদ্ধে তালেবানদের অবস্থানের সংবাদটি সত্য হয় তবে এই ম্যাচ মাঠে গড়াবে না।
বিবৃতিতে আরো জানানো হয়েছে, ‘আফগানিস্তানে নারী ক্রিকেট আর চলবে না এমন খবর যদি সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোবার্টে হতে যাওয়া এই টেস্ট ম্যাচ বাতিল করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না।’
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পেইন আরও কঠোর হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। তার মতে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই খেলা উচিত না আফগানদের। তিনি অন্য দেশগুলোকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা বর্জনের আহবান জানিয়েছেন।
বিএসডি/এএ