প্রযুক্তি ডেস্ক,
কর্মীদের জন্য হোম অফিস করার সুযোগের সময়সীমা বাড়িয়েছে গুগল, ফেসবুক আর টুইটারের মতো টেক জায়ান্ট কোম্পানিগুলো।
কর্মীদের অফিসে ফিরিয়ে আনতে ‘রিটার্ন-টু-ওয়ার্ক’ পরিকল্পনা আরও কয়েক মাস স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছিলো ওই প্রতিষ্ঠানগুলো।
সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতি আবার অবনতির দিকে হওয়াই এমন সিদ্ধান্ত টেক জায়ান্টদের।
গত ২৮ জুন কর্মীদের উদ্দেশ্যে এক ই-মেইল বার্তায় গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিল্লাই জানান, আগামী ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মীদের জন্য হোম অফিসের সুযোগ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যখন কর্মীদের অফিসে আসার নির্দেশনা আসবে তখন টিকা গ্রহণ করা কর্মীরাই সশরীরে অফিস করতে পারবেন। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অবস্থান বিবেচনায় টিকা গ্রহণ পরিস্থিতির ওপর বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত কর্মীবান্ধব আকারে কার্যকর হবে বলেও মেইলে জানান সুন্দর।
ফেসবুক জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ফেসবুকের অফিসগুলোতে কর্মরত কর্মীরা টীকা গ্রহণের পরই অফিসে আসতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট লোরি গোলার এক বার্তায় লেখেন, যারা স্বাস্থ্যগত অথবা অন্যকোনো কারণে টিকা নিতে পারেননি তাদের জন্য অফিস করার একটি সমাধান নিয়ে আমরা ভাবছি। আর অন্যান্য অঞ্চলে পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাওয়া সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সবার স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিবেচনায় রেখেই ‘রিটার্ন-টু-ওয়ার্ক’ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
অন্যদিকে সান ফ্রান্সিসকো এবং নিউ ইয়র্কে চলমান দুইটি কার্যালয় আবারও বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে টুইটার। করোনা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে গেলে মাস খানেক আগে ৫০ শতাংশ কর্মী উপস্থিতি নিয়ে এই দুইটি কার্যালয় চালু করেছিল টুইটার। তবে, কার্যালয় চালু রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এক বার্তায় টুইটার বলে, আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি এবং নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের কর্মীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তনমূলক সিদ্ধান্তও নিচ্ছি। সেসঙ্গে কর্মীদের সেই সুযোগ এখনও আছে যে তারা হোম অফিস করার সিদ্ধান্ত স্বাধীনভাবে নিতে পারেন।
গুগলের মতোই অক্টোবর পর্যন্ত ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ এর সুযোগ দিয়েছে অ্যাপল। আর সম্প্রতি সপ্তাহে তিন দিন বিভিন্ন শিফটে কর্পোরেট শাখার কর্মীদের অফিসে আসার সিদ্ধান্ত থেকেও সরে এসেছে আমাজন।
বিএসডি/আইপি