স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসার গতি বাড়ছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের। ভারতের আবহাওয়া অফিসের মঙ্গলবার সকাল নয়টা ১০ মিনিটের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ৬ ঘণ্টা ধরে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার গতিবেগে এগোচ্ছে ইয়াস। তবে গতিবেগ বাড়লেও গতিপথ একই রয়েছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে যাওয়া ইয়াসের।
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি এই মুহূর্তে ১৮ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৮ ডিগ্রি ৬ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থান করছে। এই মুহূর্তে ভারতের ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব, বালেশ্বর থেকে ৪৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব, পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে ইয়াস।
আবহাওয়া অফিসের খবর, মঙ্গলবারের মধ্যেই ইয়াস অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তারপর আরও উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার সকালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার স্থলভাগের কাছে পৌঁছনোর কথা ইয়াসের।
মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল ছয়টায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিসের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
আবহাওয়া অফিসের খবর বলছে, আগামীকাল বুধবার ভোরে ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়তে পারে উপকূল অঞ্চলে। সেই সময় হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার। ভারতের পারাদ্বীপ ও সাগরদ্বীপের মধ্যে দিয়ে বালেশ্বরের কাছাকাছি এলাকা দিয়ে যাওয়ার কথা ঘূর্ণিঝড়ের।