অর্থনীতি ডেস্ক:
জরুরি ভিত্তিতে ১১ কোটি অটো ডিজেবল (এডি) সিরিঞ্জ কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
এরআগে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দুটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে টিকাদানের জন্য অটো ডিজেবল সিরিঞ্জ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (উচগ) ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ১৩ কোটি ৮২ লক্ষ লোককে টিকাদানের লক্ষ্যে ২৭ কোটি ৬৪ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য ২৭ কোটি ৬৪ লক্ষ সিরিঞ্জ প্রয়োজন। সেই চাহিদার আংশিক ১১ কোটি অটো ডিজেবল (এডি) সিরিঞ্জ জরুরি ভিত্তিতে ক্রয় করতে হবে। এ অবস্থায়, রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে পিপিএ ২০০৬ এর ধারা ৬৮(১) এবং পিপিআর, ২০০৮ এর বিধি ৭৬(২) অনুযায়ী সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে প্রস্তাবিত ১১ কোটি এবং ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক অটো ডিজেবল (এডি) সিরিঞ্জ মেসার্স জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেড হতে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি সিরিঞ্জের দাম হবে ৬.০২ টাকা। ১১ কোটি এডি সিরিঞ্জ কিনতে ব্যয় হবে ৬৬ কোটি ২২ লাখ টাকা।’
তিনি বলেন, ‘‘২০২১ সালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য অতিরিক্ত জ্বালানি তেল আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবে দেশে সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) কর্তৃক ২০২১ সালের জন্য ৮০ হাজার মট্রিক টন (১০%+) ফার্নেস অয়েল আমদানির প্রস্তাব সিসিইএ সভায় অনুমোদিত হয়।
‘বর্তমানের এলএনজি আমদানি বন্ধ থাকায় তরল জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অধিক সময় চালু রাখার প্রয়োজনে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আরও অতিরিক্ত ৮০ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল জরুরি বিবেচনায় জি-টু-জি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোটেশন আহ্বানের মাধ্যমে আমদানির প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।’’
বিএসডি/আইপি