ডেস্ক রিপোর্ট
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ‘বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল কমপ্লেক্স’র নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। যার আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ কোটি।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকল্প পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) তুহিন মাহমুদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে ই টেন্ডার নোটিশের কথা উল্লেখ করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় ই-গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্টের (ই-জিপি) ওয়েবসাইটে দরপত্র আহবান করা হয়। দরপত্রে প্রকল্পটির আনুমানিক ব্যয়সহ আগামী আঠারো মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার সময়সীমা বেধে দেয়া হয়েছে।
এর আগে এই ম্যুরাল কমপ্লেক্স নির্মাণের দাবিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। এছাড়া সাবেক ভিসি খন্দকার নাসিরউদ্দিনের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের কোনো ধরনের নির্মাণ কাজ শুরু না করেই দীর্ঘদিন যাবত নির্মাণাধীন দেখানো হয়েছিল। এমনকি কাগজে-কলমে নির্মাণ কাজের অগ্রগতি দেখানো হয়েছিল ১৬.১৯% এবং ব্যয় দেখানো হয়েছিল আড়াই কোটি টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও ওয়ার্কস দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে অনুমোদনপ্রাপ্ত বশেমুরবিপ্রবি অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের জন্য বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা। ২৪০ বর্গমিটার জায়গায় ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে ম্যুরালটির নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু ২০১৭ সাল পর্যন্ত ম্যুরালটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) তুহিন মাহমুদ বলেন, অনেক অপেক্ষার কিছুদিন আগে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন। পাশাপাশি ভিসি স্যারের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে বিষয়টি দ্রুত বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। এরইমধ্যে আমরা কাজটি শুরু করার লক্ষ্যে জাতীয় পত্রিকায় দরপত্র আহবান করেছি।
ম্যুরাল কমপ্লেক্স নির্মাণ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি জাতির জনকের নামাঙ্কিত তার পুণ্যভূমিতে অবস্থিত। তাই আমাদের দায়বদ্ধতাও বেশি। আমরা চেষ্টা করবো সর্বোচ্চ সুন্দরভাবে ম্যুরাল কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করার।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বর্তমান ভিসি ড. একিউএম মাহবুব যোগদানের পরপরই মুজিববর্ষকে কেন্দ্র করে দ্রুত বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল কমপ্লেক্স নির্মাণের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো আগেই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের নির্মাণ কাজ শেষ করা উচিত ছিল। কিন্তু দু:খের বিষয় হলেও সত্য যে তা করা করা হয়নি।
এদিকে ম্যুরাল কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু হওয়ার খবরে আনন্দিত শিক্ষার্থীরা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবুল হাসান বলেন, জাতির পিতারই নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল না থাকাটা ছিলো আমাদের জন্য অতীব দু:খজনক ব্যাপার। তবে দেরিতে হলেও অবশেষে ম্যুরালের কাজ শুরু হচ্ছে জেনে আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত।
আরেক শিক্ষার্থী সিফাত সাব্বিরের মতে, দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার নিদর্শন সরূপ কিছু স্থাপনা রাখা দরকার। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে। আশা করি, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন হবে। শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী করে তুলবে।
বিএসডি/এমএম