নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের ১৮ বছরের ওপরের সব নাগরিককে কোভিড-১৯ এর টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। এজন্য এ পর্যন্ত ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৬০ ডোজ টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা হয়েছে এবং প্রতিমাসে যেন ১ কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বুধবার সকালে একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির এমপি রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে, সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্বটি টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিনোফার্ম থেকে প্রদত্ত সিডিউল অনুযায়ী আগামী অক্টোবর মাস থেকে প্রতি মাসে ২ কোটি হিসেবে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৬ কোটি টিকা পাওয়া যাবে। সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে এ পর্যন্ত (১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত) ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৬০ ডোজ টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত দ্বিপাক্ষিক ক্রয় চুক্তি এবং উপহার হিসেবে মোট ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৮০ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, চলমান টিকা কার্যক্রম জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এরই মধ্যে সব বিভাগীয় সদর, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে অবস্থিত ৬৭৩টি টিকা কেন্দ্রের মাধ্যমে জনগণকে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত দেশে মজুদ ভ্যাকসিনের পরিমাণ ৯৬ লাখ ৫৪ হাজার ১১৯ ডোজ। এ পর্যন্ত ২ কোটি ৯ লাখ ২২ হাজার ৭১৫ জনকে প্রথম ডোজ এবং ১ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৪৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজসহ সর্বমোট ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬১ ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে।
সবার সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রী এই মহামারি মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে টিকা গ্রহণের পাশাপাশি নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, যখন কোনো একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে নির্দিষ্ট অনুপাতে ভ্যাকসিন বা টিকা দেওয়া যায় তাহলে ওই কমিউনিটিতে আর সংক্রমণ হয় না। হার্ড ইমিউনিটি তৈরির জন্য প্রতি ১০০ জনের মধ্যে কতজনকে টিকা দিতে হবে; তা বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন হয় এবং কোভিড-১৯ এর বেলায় এটি কত হবে তা নির্ধারণ করা যায়নি। এটি এখনো গবেষণাধীন রয়েছে। সেজন্য বর্তমানে ১৮ বছরের ওপরের সব বাংলাদেশি নাগরিককে কোভিড-১৯ এর টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। যে কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে টিকা সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বিএসডি/এমএম