নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সশরীরে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ময়মনসিংহে ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। বুধবার (২৫ আগস্ট) ৩৬তম একাডেমিক কাউন্সিল সভায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এরআগে বুধবার (২৫ আগস্ট) সকাল ১১টায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে তার নিজ কার্যালয়ে জরুরি একাডেমিক কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিভাগ চাইলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করতে পারবে পরীক্ষা গ্রহণ। তবে ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা শুরুর বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. হুমায়ূন কবীর।
তিনি আরো বলেন, হল বন্ধ রেখে প্রথমে স্থগিত হওয়া পূর্বের পরীক্ষা গ্রহণ করবে বিভাগগুলো। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে কোর্স সম্পন্ন হওয়া সব শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে বিভাগগুলোকে। একটি বিভাগ প্রতিদিন একটি শিক্ষাবর্ষের একটি করেই পরীক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। সরকার থেকে সিদ্ধান্ত আসলেই হল খুলে পাঠদান শুরু করবে বিশ্ববিদ্যালয়।
এখন পর্যন্ত কোনো বিভাগ পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত করতে পারেনি। তবে ১ সেপ্টেম্বরের আগেই বিভাগগুলো রুটিন প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বলেছিলাম পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের হতাশ করবো না। দিন শেষে সেটি পেরেছি। আর তা শিক্ষার্থীদের জন্যেই সম্ভব হয়েছে। আমি নম্র মানুষ। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে যা হয়েছে আমার সঙ্গে তা অন্য কেউ থাকলে বরদাস্ত করতো না। আমার সহকর্মী শিক্ষকরা আমাকে সহযোগিতা করেছেন। আর কেউ কেউ তো অন্যরকম থাকবেই। আমি সঠিক থাকলে পেরে উঠবে না। যৌক্তিক দাবী শিক্ষার্থীদের সেটি পূরণ হয়েছে। আমার প্রশাসন এখন এটি বাস্তবায়নে কাজ করবে।
পরীক্ষা গ্রহণ নিয়ে ভিসির সঙ্গেও সভায় তর্কে জড়ান নজরুল ইসলাম। সিন্ডিকেট সভা ব্যতিরেকে এই সিদ্ধান্ত না মানার ঘোষণা দেয় তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত এক বিভাগীয় প্রধান বলেন, সভায় নজরুল স্যার একজন জেষ্ঠ্য শিক্ষক হয়ে যে ব্যবহার করলেন তা অনুচিত। আমরা প্রত্যাশাও করিনি। ভিসি স্যারকেও ছাড়েননি তিনি। পরীক্ষা গ্রহণে উনার অনীহার কারণ সম্পর্কে আমি জানি না তবে অবাক করেছেন তিনি।
একইদিন পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে স্মারকলিপি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়টির শাখা ছাত্রলীগ।
বিএসডি/এমএম