টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা। আগামী শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে ইজতেমার মূল কার্যক্রম। এতে অংশ নেবেন তাগলিগের আলমী শূরার সাথীরা। ইতিমধ্যে সারাদেশ থেকে জড়ো হতে শুরু করেছেন তাবলিগের সাথীরা।
আগামী শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া আলমী শূরার ইজতেমায় সারাদেশ থেকে আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে জেলাভিত্তিক খিত্তা নম্বর ও ম্যাপ নির্ধারণ করা হয়েছে।
আলমী শূরার ইজতেমায় অংশ নেওয়া তাবলিগের সাথীরা যে সমস্ত খিত্তায় অবস্থান করবেন তা হলো- গাজীপুর (খিত্তা-১), টঙ্গী (খিত্তা-২, ৩ ও ৪), মিরপুর (খিত্তা-৫-৬), সাভার (খিত্তা-৭-৮), মোহাম্মদপুর (খিত্তা-৯), কেরানীগঞ্জ (খিত্তা-১০-১১), কাকরাইল (খিত্তা-১২,১৩,১৪,১৫, ১৮,২০, ২১), যাত্রাবাড়ী (খিত্তা-১৬,২৬,২৮), ডেমরা (খিত্তা-১৭) ধামরাই (খিত্তা-২৭), দোহার (খিত্তা-৩০)।
রাজশাহী (খিত্তা-১৯), চাঁপাইনবাবগঞ্জ (খিত্তা-২২), নাটোর (খিত্তা-২৪), নওগাঁ (খিত্তা-২৩), নড়াইল (খিত্তা-৪০), সিরাজগঞ্জ (খিত্তা-২৯), টাঙ্গাইল (খিত্তা-২৫)।
রংপুর (খিত্তা-৩১), গাইবান্ধা (খিত্তা-৩৪), লালমনিরহাট (খিত্তা-৩৬), মুন্সীগঞ্জ (খিত্তা-৪১), যশোর (খিত্তা-৪৬), নীলফামারী (খিত্তা-৩২), বগুড়া (খিত্তা-৩৫), জয়পুরহাট (খিত্তা-৩৩), নারায়ণগঞ্জ (খিত্তা-৩৮-৩৯),
ফরিদপুর (খিত্তা-৬২), ভোলা (খিত্তা-৪৪), নরসিংদী (খিত্তা-৪৫), সাতক্ষীরা (খিত্তা-৪৭), বাগেরহাট (খিত্তা-৪৮), কুষ্টিয়া (খিত্তা-৫৪), মেহেরপুর (খিত্তা-৪৭), চুয়াডাঙ্গা (খিত্তা-৪৯), ময়মনসিংহ (খিত্তা-৫৫,৫৩), শেরপুর (খিত্তা-৫৬), জামালপুর (খিত্তা-৫১,৫২), গোপালগঞ্জ (খিত্তা-৫৯), কিশোরগঞ্জ (খিত্তা-৫৮), নেত্রকোনা (খিত্তা-৫৭), ঝালকাঠি (খিত্তা-৪৩), বান্দরবান (খিত্তা-৫৭), বরিশাল (খিত্তা-৪২)।
পিরোজপুর (খিত্তা-৬৫), হবিগঞ্জ (খিত্তা-৬৬), কক্সবাজার (খিত্তা-৬৪), সিলেট (খিত্তা-৬৭), সুনামগঞ্জ (খিত্তা-৬৮), ফেনী (খিত্তা-৬৯), নোয়াখালী (খিত্তা-৭০), লক্ষ্মীপুর (খিত্তা-৭১), চাঁদপুর (খিত্তা-৭২), ব্রাহ্মণবাড়িয়া (খিত্তা-৭৩)
খুলনা (খিত্তা-৭৪), পটুয়াখালী (খিত্তা-৭৫), বরগুনা (খিত্তা-৭৬), চট্টগ্রাম (খিত্তা-৭৭-৭৮), কুমিল্লা (খিত্তা-৭৯), মৌলভীবাজার (খিত্তা-৭৬), রাজবাড়ী (খিত্তা-৯০), মাদারীপুর (খিত্তা-৮৮), শরীয়তপুর (খিত্তা-৮৯), মানিকগঞ্জ (খিত্তা-৮৫), রাঙ্গামাটি (খিত্তা-৮১), দিনাজপুর (খিত্তা-৩৭), পাবনা (খিত্তা-৮৪), পঞ্চগড় (খিত্তা-৮৭)
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কারী মুফতি জহির ইবনে মুসলিম জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ইজতেমায় ময়দান প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। ইজতেমা পরিচালনা করার জন্য ময়দানসহ বাদবাকী সব কিছুই প্রস্তুত করা হয়েছে। মুসল্লিরা গতরাত থেকেই ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। সকালের দিকে মুসল্লি আসার সংখ্যা বেড়েছে। সারাদিনে মাঠ ভরে যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, এবারের বিশ্ব ইজতেমায় বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রটের একাধিক টিম দায়িত্বে থাকবে।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার মাহবুব আলম জানিয়েছেন, এবারের ইজতেমায় গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের ছয় সহস্রাধিক সদস্য ছাড়াও র্যাব, ডিএমপি এবং সাদা পোশাক ও গোয়েন্দা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ইজতেমা এলাকায় কোনো প্রকার অবৈধ দোকান এবং হকারদের অবস্থান করতে দেওয়া হবে না।
বিএসডি / এলএম