নিজস্ব প্রতিবেদক,
২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুর এলাকায় জলাবদ্ধতার তীব্র স্রোতে পা পিছলে ড্রেনে পড়ে যাওয়া সবজি ব্যবসায়ী মো. সালেহ আহম্মেদের (৫৫) এখনও সন্ধান মেলেনি।
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টা থেকে তাকে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অতিরিক্ত পানির স্রোতের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
সালেহ আহম্মেদ নগরের চকবাজার এলাকায় সবজি ব্যবসা করতেন। তার বাড়ি পটিয়া উপজেলার মনসারটেক এলাকায়। তিনি ওই এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে। তিনি ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। বুধবার সকাল ১১টার দিকে পাঁচলাইশ থানাধীন মুরাদপুর পুলিশ বক্স এলাকায় পা পিছলে নালায় পড়ে নিখোঁজ হন।
আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ভোর সাড়ে ৬টা থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো কাজ শুরু করেছি আমরা। আশপাশে কয়েকশ মিটার পর্যন্ত এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ৩ সদস্যের একটি ডুবুরি দল এবং বেশ কয়েকজনের উদ্ধারকারী দল কাজ করছে। নালায় উদ্ধার অভিযান চালাতে আমাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। নালা ময়লা আবর্জনায় ভর্তি।
তিনি আরো বলেন, বুধবার রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত আমরা উদ্ধার অভিযান চালিয়েছি। এরপর রাতে উদ্ধার অভিযান বন্ধ ছিল। যদি নিখোঁজ ব্যক্তিটির মৃত্যুও হয়, তাহলে সাধারণত ১৮ ঘণ্টা পর মরদেহ ভেসে ওঠার কথা। কিন্তু কোনো খোঁজ নেই। সবকিছু মাথায় রেখে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
এদিকে, সবজি ব্যবসায়ী সালেহ আহম্মেদের নালায় পড়ে যাওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নগরীর মধ্যে এত বড় নালা উন্মুক্ত থাকা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। নালাটি চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতাভুক্ত।
এর আগে ৩০ জুন ষোলশহর ২ নম্বর গেইটের মেয়র গলিতে বৃষ্টির সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নালায় পড়ে গিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়। এ সময় আহত হন আরো তিনজন।
বিএসডি/এএ