আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পরিবারকে রাজনীতি থেকে সরানোর নীলনকশা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র। গতকাল শনিবার রাতে তাঁর অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ফেসবুক লাইভে কাদের মির্জা অভিযোগ করেন, ‘আমার পরিবারকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য এক নীলনকশা তৈরি হয়েছে। সেই নীলনকশা মোতাবেক ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নোয়াখালীর সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী এখন দুবাই অবস্থান করছেন। দুবাই যাওয়ার আগে এই অপরাজনীতির হোতা একরাম-নিজাম (সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী ও সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী) এবং দুর্নীতিবাজ সচিব প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঢাকায় রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছে। ওই বৈঠকে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ওবায়দুল কাদেরসহ আমাদের পরিবারকে রাজনীতি থেকে সরাবে। আমি, আমার ছেলে ও ছোট ভাই শাহদাতকে তারা হত্যা করবে।’
প্রায় ৫৩ মিনিটের লাইভে আবদুল কাদের মির্জা অভিযোগ করেন, ‘পরশু দিন আমি যখন এখানে শান্তির প্রস্তাব দিলাম, তার পরিবর্তে কানা মঞ্জু (ভাগনে মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু) আমার পরিবার, বিশেষ করে ওবায়দুল কাদের সাহেব, আমার আব্বা, আমার সম্পর্কে, ছেলের সম্পর্কে, ছোট ভাই সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রেখেছে, যা লাইভে আপনারা দেখেছেন। আমি মনে করি, ওবায়দুল সাহেব যদি মনে করেন, তাঁদের দিয়ে রাজনীতি করাবেন, আমার এখানে বলার কি আছে? আমি তো আগেই বলেছি, এই সংসার ওনার সংসার। আমি তো দল থেকে পদত্যাগ করেছি।’
কাদের মির্জার অভিযোগ, ‘যে পরিকল্পনা তাঁরা নিয়েছেন, সেই পরিকল্পনা মোতাবেক আগামি দু-এক দিনের মধ্যে বাদল (উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল) ও কানা মঞ্জু দুবাইতে যাবেন। তাঁরা একরামুল করিম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করার জন্য যাবেন। একরামুল করিম চৌধুরীর ২৬ তারিখে চলে আসার কথা। সে ভিসার মেয়াদ আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে।’